অমিত শাহের কনভয়ে একটি গাডির নম্বর প্লেটে সিএবি, অন্যটিতে সিএএ, তুমুল মস্করা সংসদ চত্তরে

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (File Photo: IANS)

গাড়ির নম্বর প্লেটে অনেকেই নিজের লাকি নম্বর পেতে আরটিও অফিসে দৌড়ঝাপ করেন। কেউ কেউ না চাইতেই পছন্দের নম্বর পেয়ে যান। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কনভয়ের দুই গাড়ির নম্বর প্লেটে সােমবার যা দেখা গেল, এককথায় কাকতলীয় বইকি।

সােশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়েকটি বক্তৃতা ভাইরাল হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ক্রোনােলজি বক্তৃতা। যেখানে একটি সাক্ষাৎকারে অমিত শাহকে বলতে শােনা গিয়েছিল, ‘ক্রোনােলজি সমঝিয়ে। পহলে সিএবি আয়েগা। উসকে বাদ সিএবি পার্লামেন্টমে সিএএ হােগা…’।

অর্থাৎ আগে সিএবি তথা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল সংসদে আসবে। তারপর তা পাশ হয়ে সিএএ তথা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ড অ্যাক্ট হবে। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মােদি সরকারে আসার পর গৃহমন্ত্রকে অমিত শাহ বসেই গত আট-ন’মাসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া, তিন তালাক প্রথা উঠিয়ে দেওয়ার মতাে পদক্ষেপের পর নাগরিকত্ব সংশােধনী বিল ও আইন।


সিএএ নিয়ে যখন সারা দেশ আন্দোলনে নেমেছে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ে গাড়ির নম্বরে তা দেখে অনেকেই গােটা বিষয়টি জুড়ে দিতে চেয়েছেন। অমিত শাহ গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় তাঁর কনভয়ের ছবি কেউ তােলেনি। শুধু নম্বর প্লেটের দু’টির ছবি নিয়ে সােমবার সংসদের অলিন্দে হাসি-ঠাট্টার অন্ত ছিল না।

নয়ের দশকের শেষে হুগলিতে একটি সভা করতে গিয়ে এমনই কাকতলীয় ঘটনা ঘটেছিল বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে। সেবার হুগলির বৈদ্যবাটিতে স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সভা করতে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেখা যায় সেই বাড়ির মহিলা, যিনি জ্যোতিবাবুকে চা এগিয়ে দিয়েছিলেন তার নাম ডলি বসু। আর তাঁর একমাত্র ছেলের নাম চন্দন বসু। জ্যোতিবাবু নাকি রসিকতা করে বলেছিলেন, এ তাে বাড়িতেই চা খাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে।