কর্ণাটকে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে খুন কংগ্রেস নেতার মেয়ে

বেঙ্গালুরু, ১৯ এপ্রিল – কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করা হল কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার মেয়েকে। লোকসভা ভোটের আবহে প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  কর্ণাটকের হুবলিতে। সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধরা পড়ে কলেজের সিসি ক্যামেরায়। বৃহস্পতিবার কর্নাটকের হুবলিতে একটি বেসরকারি কলেজের ভিতরেই কুপিয়ে খুন করা হয় বছর ২৩-এর নেহা হিরেমথ নামে ওই যুবতীকে। ওই যুবতীর বাবা নিরঞ্জন হিরেমথ কংগ্রেস নেতা । ফয়াজও ওই একই কলেজে পড়ত। তবে পরীক্ষায় ফেল করেছিল সে। খুনের পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, হুবলির বিভিবি কলেজের কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন বিভাগে পাঠরত ছিলেন মৃত নেহা।  নেহার বাবা নীরঞ্জন হীরেমথ হুব্বালি ধারওয়াদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কংগ্রেস কাউন্সিলর। শুক্রবার কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করে ওই কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র। অভিযুক্তের নাম ফয়াজ। পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত রাস্তাঘাটে ওই তরুণীর পিছু নিচ্ছিলেন। অভিযুক্ত যুবক তাঁর প্রাক্তন সহপাঠী বলেও জানা যায় । সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই নেহাকে বিরক্ত করছিল ফয়াজ। ফয়াজ প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় রোষের মুখে পড়তে হয় ওই যুবতীকে। এরপরেও নেহাকে নানা কুপ্রস্তাব দেয় ফয়াজ। 
 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নেহা হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ফয়জের সঙ্গে সামান্য কথোপকথনে জড়ান। হঠাৎই ফয়াজ তাঁর উপর আক্রমণ করে । পরপর এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন নেহা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নেহার দেহ কেম্পিগোডা ইনস্টিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধারওয়াদের পুলিশ কমিশনার রেনুকা সুকুমার জানিয়েছন, অপরাধের পর পালিয়ে গেলেও আমরা তাকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই গ্রেফতার করেছি। অন্যান্য পড়ুয়াদের কাছে থেকে জানা জানতে পেরেছি নেহা ও অভিযুক্ত একে অপরের পরিচিত ছিল। একই সঙ্গে পড়াশোনা করেছে তারা। তবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য জানা যাবে।’