তেলেঙ্গানায় সদ্য শপথ নেওয়া কংগ্রেস নেতা মুহাম্মদ আজহারুদ্দিনকে বরাদ্দ করা হল দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। মঙ্গলবার রাজ্যপালের আদেশে জানানো হয়েছে, ৪ নভেম্বর থেকেই আজহারুদ্দিনের হাতে যাচ্ছে ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ এবং ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ দপ্তর।
সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে, এতদিন ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। অন্যদিকে, ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ’ দপ্তরটি দেখভাল করতেন মন্ত্রী আদলুরি লক্ষ্মণ কুমার। নতুন দপ্তর বণ্টনের ফলে এই দু’টি দপ্তরের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন আজহারুদ্দিনের কাছে চলে গেল।
জারি করা সরকারি আদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৬ অনুচ্ছেদের তিন নম্বর ধারার বিধান এবং তেলেঙ্গানা গভর্নমেন্ট বিজনেস রুলস অনুযায়ী, মন্ত্রিসভায় আজহারুদ্দিনের অন্তর্ভুক্তির পর দপ্তর পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে পাঠানো নির্দেশেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই দপ্তরগুলি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে প্রভাবশালী মুখ হিসেবে আজহারুদ্দিনকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া কংগ্রেস সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ। পাশাপাশি ‘পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস’ দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে যাওয়ায় শিল্প–বিনিয়োগ ও রাজ্যের সরকারি সংস্থাগুলির উন্নয়নমূলক কাজে নতুন গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দপ্তর বণ্টনের পরে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজহারুদ্দিন খুব শিগগিরই দুই দপ্তরের শীর্ষ কর্তা ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিনি কাজের রূপরেখা তৈরি করবেন। তাঁকে ঘিরে কংগ্রেস শিবিরে উৎসাহ দেখা গেলেও বিরোধীরা মন্তব্য করেছে যে, ‘যোগ্যতার বিচার’ নয়, বরং রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
তবে তেলেঙ্গানার সরকার পক্ষ দাবি করেছে, ‘অভিজ্ঞতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সাংগঠনিক নেতৃত্ব বিবেচনা করেই’ আজহারুদ্দিনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণের পর আজহারুদ্দিনও জানিয়েছেন যে, তিনি ‘মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করবেন।’