ইন্দোর, ২৯ এপ্রিল – গুজরাটের সুরাটের পর এবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় বাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। হাত শিবির ছেড়ে তিনি যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ইন্দোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যেতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ফলে লোকসভা ভোটের কয়েকদিন আগে সোমবার বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। যদিও তিনি কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, তা নিয়ে অক্ষয় বামের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অক্ষয় বাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ইন্দোরে কংগ্রেসের আর কোন প্রার্থী থাকল না। সুরাটের পর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর দ্বিতীয় যেখানে কংগ্রেসের কোন প্রার্থী থাকছে না। তবে সুরাটে কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়, যেখানে ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী নিজেই সরে দাঁড়ালেন। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট রয়েছে ইন্দোরে। এখানে বর্তমান সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানি ফের প্রার্থী বিজেপির। তাঁর বিরুদ্ধে অক্ষয় বামকে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের কিছুক্ষণ পরেই প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং ইন্দোরের বিধায়ক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বামকে গেরুয়া শিবিরে স্বাগত জানান।
মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার সময় তিনি মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক রমেশ মেণ্ডেলার সঙ্গে যান। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। আর শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হয়। এক্স বার্তায় বামের সঙ্গে তাঁর ছবিসহ একটি বার্তা পোস্ট করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাতে তিনি লেখেন, আমরা অক্ষয়কুমার বামজিকে স্বাগত জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দলে তিনি যোগ দিচ্ছেন।দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ও রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মার নেতৃত্বে তাঁকে দলকে স্বাগত জানাই।”
অক্ষয় বামের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক স্কটের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। কারণ ওই আসনে মনোনয়ন পেশ করার সময় আর নেই। সোমবারই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ মুহূর্তে বাম সরে যাওয়ায় আর প্রার্থী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকল না কংগ্রেসের কাছে। কংগ্রেস শিবির কিছু টের পাওয়ার আগেই মধ্যপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বিজয়বর্গীয় চুপিসারে এই কাজ সারেন বলে রাজনৈতিক মহলের চর্চায় উঠে আসে।
ইনডোর আসনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বিজেপির দখলে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সেখানে জিতে এসেছেন সুমিত্রা মহাজন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত লোকসভা অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে ওই আসনে জয়ী হন শঙ্কর লালওয়ানি . এবারও তিনিই প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে বিবি নির্দল ও বিএসপি-সহ কয়েকটি ছোট দল প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকলেও মূল লড়াই ছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই কংগ্রেস প্রার্থী সরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর জয়ের পথে আর কোন বাধা রইল না।