দিল্লি, ২৯ এপ্রিল – ইডি-র সমস্ত অফিসে মোতায়েন করা হবে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরে হামলার যে ঘটনা ঘটছে, তারপরই ইডির দফতরে সিআইএসএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, গোয়েন্দা বাহিনী ও ইডির তথ্যের উপরে ভিত্তি করে সিআইএসএফ কোথায় কিভাবে মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ইডি দফতরে সিআইএসএফ মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে। মোট ৪০টি শহরে ২১টি জ়োনাল ও ১৮টি সাব-জ়োনাল অফিস রয়েছে ইডির। সদর দফতর দিল্লিতে ইতিমধ্যেই সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কলকাতা, রাঁচি, রায়পুর, জয়পুর, জলন্ধর, কোচি ও মুম্বইয়ে ইডির অফিসে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি অফিসগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য কত খরচ হতে পারে, তার হিসাব করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইডির তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ইডির সমস্ত দফতরে সিআইএসএফ মোতায়েন করার আবেদন জানানো হয়েছিল। আপাতত মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, কেরল ও চন্ডিগড়ে ‘নো কস্ট বেসিসে’ সিআইএসএফ নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আপাতত এই ইডি অফিসগুলিতে সিআইএসএফ মোতায়েনের খরচ বহন করবে কেন্দ্র।
বঙ্গেও বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডিকে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, চুরি যায় ইডির ল্যাপটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি-তথ্য। এরপর আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-ও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আক্রমণের সম্মুখীন হয়।
বর্তমান ইডি, সিবিআই, এনআইএ-র সমস্ত অভিযানে সঙ্গে থাকছেন সিআরপিএফ ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, জম্মু-কাশ্মীরেও তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরাপত্তায় থাকছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।