লাদাখ সীমান্ত বরাবর চিনের সেনা তৎপরতা বাড়ছে, পাল্টা নজরদারিতে ভারত

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

লাদাখের ভারত-চিন সীমানা বরাবর চিনের সামরিক হেলিকপ্টারের টহলদারির মােকাবিলায় ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর সিকিমের প্রকৃত সীমারেখা বরাবর দুই দেশের সেনা জওয়ানদের হাতাহাতিতে উভয় পক্ষের বেশকিছু জওয়ান আহত হন।

প্রতিরক্ষা দফতর সুত্রে জানানাে হয়েছে, চিনের হেলিকপ্টারের ভারতীয় সীমানা বরাবর ওড়াউড়ি করতে দেখেই ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক হয়ে যায় এবং লেহ সামরিক বিমানবন্দর থেকে সুখই যুদ্ধ বিমান নিয়ে এলাকায় টহলদারি শুরু হয়। তবে চিনা সামরিক হেলিকপ্টার ভারতীয় সীমা অতিক্রম করেনি বলে সরকারি সুত্রে জানানাে হয়েছে।

ভারতের পূর্ব সীমান্ত বরাবর পাকিস্তান যুদ্ধবিমান এফ ১৬ ও এফ ১৭ নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরই চিনা সামরিক বাহিনীর এমন আগ্রাসী উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে সরকারি সুত্রে জানানাে হয়েছে। হান্দওয়াড়ায় পাঁচ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর ভারতীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কাতেই পাকিস্তান নজরদারি বাড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


চিনের সামরিক হেলিকপ্টার এর আগেও বহুবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙঘন করেছে এবং বিভিন্নভাবে ভারতীয় জমি দখলের চেষ্টা করেছে। চিনের সঙ্গে ভারত-চিন সীমানা নিয়ে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকায় চিন বারবার ভারতের বিভিন্ন এলাকা দখলদারি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর সিকিমে ভারতীয় ও চিনা জওয়ানদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ ভারতের চিন্তা বাড়িয়েছে।

কোভিড ১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে চিনের সংযােগ থাকার অভিযােগ খণ্ডানের জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এই মারণ ভাইরাস চিনের উহানের একটি ল্যাবেই তৈরি এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযােগ করেছে বিভিন্ন দেশ।

এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার মতাে বহুজাতিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা চিন ছেড়ে অন্য বিকল্প দেশে, মূলত ভারতে তাদের ব্যবসায়িক বিনিয়ােগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এতেই চিন আরও চাপে পড়েছে। চিনের সামরিক আগ্রাসনমূলক কাজের পিছনে এই মানসিকতাই কাজ করছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।