চিনে সম্প্রতি চালু হয়েছে ‘কে ভিসা’। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিক্ষেত্রে প্রতিভাবানদের চিনে স্বাগত জানাতে চাইছে জিনপিং সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ ১বি ভিসার দাম বাড়িয়ে ১ লক্ষ ডলার করে দেওয়ার পর চিনের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চিনে যদিও এই ভিসা নিয়ে একরকম আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন যে এই পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে চিনের নাগরিকদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। অনেকে সমাজমাধ্যমে এইরকম সংশয় প্রকাশ করেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৮৫ হাজার এইচ ১বি ভিসার বেশির ভাগই ভারতীয় নাগরিকদের। ট্রাম্প এই ভিসার দাম বাড়ানোয় আমেরিকায় গিয়ে যারা চাকরি করতে চান তাঁদের লক্ষ্যে বাঁধা পড়েছে। চিন এই সুযোগে ভারতীয় প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীদের দেশে আহ্বান করছে। এখনও যদিও স্পষ্ট নয় যে, এই কে ভিসা ব্যবহার করে ভারতীয়রা চিনে চাকরি করতে পারবেন কিনা। অনেকে বলেছেন, এই ভিসা ব্যবহার করে চিনে যাওয়া অনেক সহজ হলেও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভিসা কতটা সুবিধা প্রদান করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এই কে ভিসা চালু হয়েছে মাত্র ৩ দিন আগে এবং এই ভিসা থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে তা জানার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এতটা অপেক্ষা করতে আবার রাজি নয় চিনের যুব সম্প্রদায়। তাঁদের ধারণা এই ভিসা তাঁদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমাবে। একজন সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমাদের এখানে প্রচুর স্নাতক ছাত্রছাত্রী। স্নাতকোত্তর বা গবেষক ডিগ্রিও কম ছাত্রছাত্রীর নেই। দেশে প্রতিভার বিপুল ভান্ডার আছে। অথচ আমরা বিদেশি স্নাতকদের এখানে ডেকে আনছি।’
আরেকজন দাবি করেছে, ‘নতুন নতুন বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে বিবাদ শুরু করেছে। কিন্তু বিদেশি পাসপোর্টের জোর সবচেয়ে বেশি।’ এই কে ভিসাকে চিনের মানুষেরা বিপদ হিসেবেই দেখছেন।