ছত্তিশগড়ে তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ

ছত্তিশগড়ে তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ায় খুশি সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। ২০২২ সালে ছত্তিশগড়ে বাঘের সংখ্যা ছিল ১৭। সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫-এ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাঘের সংরক্ষণের বিষয়ে জোর দেবে রাজ্য সরকার। বাঘের সংখ্যা যাতে আগামী দিনে আরও বাড়ে, সেই দিকেও নজর দেওয়া হবে। বাঘের পাশাপাশি ছত্তিশগড় সরকার সেরাজ্যের জাতীয় প্রাণী বুনো মহিষের সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে।

ছত্তিশগড়ে চারটি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল – ইন্দ্রাবতী (বিজাপুর), উদান্তি-সীতানদী (গড়িয়াবন্ধ-ধামতারি) আচানকমার (মুঙ্গেলি) এবং গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলা। বাঘের সংখ্যা আরও বাড়াতে মধ্যপ্রদেশ থেকে উদান্তি-সীতানদী এবং গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলা সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে ছত্তিশগড় সরকার। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছে।

সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বন্যপ্রাণ কল্যাণ বোর্ডের ১৫-তম বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন বিষ্ণুদেও সাই। সেখানেই রাজ্যের বনপাল অরুণ কুমার পাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যে বাঘের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, এখন ছত্তিশগড়ে বাঘের সংখ্যা ৩৫ হলেও, ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৬।


ছত্তিশগড় বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। কিছু বাঘ নতুন আশ্রয়ের খোঁজে ছত্তিশগড়ে এসেছে। তারপর তারা আর ফেরত যায়নি। রাজ্য বন দপ্তর সূত্রে খবর, আচানকমার সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা ১৮, গুরু ঘাসিদাসে ৭, ইন্দ্রাবতীতে ৬, ভোরামদেও অভয়ারণ্যে ৩ এবং উদান্তিতে একটি বাঘ রয়েছে।