ধৃত উচ্চশিক্ষিত ৫ আইসিস জঙ্গির রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির ছক ফাঁস

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ফের বড়সড় জঙ্গি মডিউল ভাঙল দেশের নিরাপত্তা বাহিনী। আইসিসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের পরিচয় জানাজানি হতেই চমকে উঠেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতদের কেউ ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, কেউ বা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। পুলিশ জানিয়েছে, দেশজুড়ে তরুণদের সংগঠিত করতে আলাদা ‘খিলাফত’ মডেল চালাচ্ছিল এই দলটি।

এই অভিযানে ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ। বাজেয়াপ্ত জিনিসের তালিকায় রয়েছে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বনেট, সালফারের গুঁড়ো, পিএইচ ভ্যালু চেকার এবং বল বিয়ারিং। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এগুলো ব্যবহার করে বিস্ফোরক বা রাসায়নিক অস্ত্র বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল এই অভিযুক্তরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা আইসিস-এর ‘স্লিপার মডিউল’-এর সক্রিয় সদস্য। কাজ ছিল সংগঠনের শক্তি বাড়ানো ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করা। ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, তেলঙ্গানা এবং মধ্যপ্রদেশে একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আফতাব ও আবু সুফিয়ানকে ধরা হয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন থেকে। আবার দানিশকে পাকড়াও করা হয় রাঁচির তবরক লজ থেকে। সেখানে ছাত্র সেজে লুকিয়ে ছিল সে। এদিকে রাজগড় (মধ্যপ্রদেশ) থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে কামরান কুরেশি এবং হায়দরাবাদ থেকে ধরা পড়েছে হুজেইফ ইয়েমেন।


তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত দানিশ ছিল দলের গ্রুপ লিডার। ইংরেজিতে এমএ পাশ করা এই যুবক রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে পারদর্শী বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও ডিজিটাল সরঞ্জাম জঙ্গি সংগঠনের হানার পরিকল্পনার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মত নিরাপত্তা আধিকারিকদের।

শুধু তাই নয়, ধৃতরা একাধিক সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। একই সঙ্গে ভারতীয় তরুণদেরও সেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টার্গেট করেছিল তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে ধৃতদের জেরা শুরু করেছে।