কেন্দ্রের নির্দেশ! গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলে করােনা সারে কিনা পরীক্ষা করে দেখছে এইমস

এইমস (File Photo: IANS)

হৃষিকেশে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটুট অব মেডিকেল সায়েন্স (এইমস) এবার করােনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করার উপায় আবিষ্কারের লক্ষ্যে এক অভিনব পরীক্ষা করতে চলেছে। সংস্থাটি পরীক্ষা করে দেখবে যে নিয়মিত গায়ত্রী মন্ত্র জপ ও প্রাণায়াম এই মারণ ভাইরাস থেকে শরীরকে মুক্তি দিতে পারে কিনা। 

সূত্রের খবর, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনােলজির তরফে এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্দেশ পাঠানাে হয়েছে হৃষিকেশ এইমস-এ। 

তবে শুধু গায়ত্রী মন্ত্র ও প্রাণায়ামের ওপর নির্ভর করে সমীক্ষাটি পরিচালিত হবে না। পাশাপাশি এতদিন পর্যন্ত যে ওষুধ ও পদ্ধতি অবলম্বন করে করােনার চিকিৎসা চলছিল, সেটাও অনুসরণ করা হবে। 


হৃষিকেশ এইমস-এর কর্তারা জানিয়েছেন, এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য সরকারের নির্দেশমতাে করােনায় আক্রান্ত রােগীদের দুটি দলকে তৈরি করা হয়েছে। প্রতি দলে রয়েছেন ১০ জন করে রােগী। এদের মধ্যে একদল প্রতি সকালে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করবেন, প্রাণায়াম করবেন। পাশাপাশি প্রচলিত মতে

তাদের চিকিৎসাও চলবে। অন্য দলটিকে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করানাে হবে না ও প্রাণায়াম করানাে হবে না। 

সমীক্ষা শুরু করার আগে রােগীদের শারীরিক সব রকম পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। তারপর ১৪ দিন বাদে সমীক্ষা শেষে আবার মেডিকেল টেস্ট করে দেখা হবে যে দুই দলের শারীরিক অবস্থার মধ্যে কোনও পার্থক্য ধরা যাচ্ছে কিনা। 

প্রশ্ন উঠেছে, ভাইরাস প্রতিহত করার জন্য মন্ত্র এবং প্রাণায়ামের সাহায্য কেন নেওয়া হচ্ছে? মূলত করােনা ভাইরাস আমাদের শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। প্রাণায়ামের দ্বারা তার কার্যকারিতা ও শক্তি বৃদ্ধি করা যায়। প্রাণায়ামের ফলে শ্বাসযন্ত্র শক্তিশালী হলে তা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে। 

অন্যদিকে বলা হয় যে এই গায়ত্রী মন্ত্র সকল প্রকার যন্ত্রণার উপশমে সক্ষম। তা আমাদের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। সেই বিশ্বাসে ভর করে মারণ ভাইরাস প্রতিহত করা যায় কিনা, তা আপাতত পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে ভারত সরকার।