ট্রাম্পের শুল্ক মোকাবিলায় নয়া স্কিম আনতে পারে কেন্দ্র

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

আমেরিকার চাপানো শুল্কে দেশের রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা বিশাল ধাক্কা খেয়েছে, যদিও সরকারের তরফে এখনও সেই খতিয়ান জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা আলোচনা করছেন রিলিফ প্যাকেজ নিয়ে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানিকারকদের জন্য রিলিফ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে। জিএসটির হার কমিয়ে মধ্যবিত্তদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্র। এবার ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকদের জন্যও সুখবর শোনাতে পারে কেন্দ্র, সরকারের অন্দরে এমনটাই জল্পনা।

আমেরিকার চড়া শুল্কের কারণে যাঁদের পণ্য রপ্তানি ধাক্কা খাচ্ছে, তাঁরা এই রিলিফ প্যাকেজের সুবিধা পাবেন। অতিরিক্ত শুল্কের চাপে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় সংস্থাগুলির ব্যবসা করা কঠিন হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে ভারতের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির কাছে কাজের বরাত কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমেরিকায় ইতিমধ্যেই ‘আমূল বাটার খাওয়া লাক্সারি’ বলে বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের বস্ত্র শিল্প। এছাড়া চামড়ার পণ্য, জুট শিল্প, জুতো, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, কৃষি পণ্য, গহনা, গ্রহরত্ন, চিংড়ি মাছ রপ্তানিও ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। দেশের বিপুল বিদেশি মুদ্রা আয়ের অনেকটাই আসত এই শিল্পক্ষেত্র থেকে রপ্তানির মাধ্যমে। ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতেই, সেই বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। কারও অর্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছে, কাউকে আবার অতিরিক্ত খরচ নিজের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে।


সরকারি সূত্রে খবর, ছোট ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের জন্য সরকার বিশেষ ছাড় ঘোষণা করতে পারে। কিংবা ঋণ পাওয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করা হতে পারে। জানা গিয়েছে, কোডিভ ১৯-এর সময় যেমন সরকার রিলিফ প্ল্যান ঘোষণা করেছিল, সেই ধরনের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কোটির টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।