বড়দিনের আগে দেশে খ্রিস্টানদের উপর হামলায় উদ্বেগ সিবিসিআইয়ের, কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে সরব তৃণমূল

বড়দিনের উৎসবের আবহে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স অফ ইন্ডিয়া (সিবিসিআই)।এই ধরনের ঘটনাকে শুধু নিন্দনীয়ই নয়, সংবিধানবিরোধী বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। একই  সঙ্গে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সিবিসিআইয়ের সভাপতি আর্চবিশপ অ্যান্ড্রুজ থাজ্জাত এক বিবৃতিতে জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণ, হুমকি ও ভয় দেখানোর খবর সংগঠনের সদস্যদের মর্মাহত করেছে। তাঁর কথায়, ‘এই ধরনের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ও ভীতির পরিবেশ তৈরি  করছে, যা সরাসরিভাবে ভারতের বহুত্ববাদী চরিত্রের পরিপন্থী।‘  তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ভারতীয় সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে তাঁর নিজের ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, এবং সেই অধিকার লঙ্ঘন করে যে ঘৃণার রাজনীতি চালানো হচ্ছে, তা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।

আর্চবিশপ থাজ্জাত প্রশাসনের উদ্দেশে কঠোর ভাষায় বলেন, সমাজে বিভাজন ও বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে এমন শক্তিগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানান, যাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করতে পারেন এবং ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন।


এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা  নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় তাঁদের নীরবতা উদ্বেগজনক। ডেরেকের মতে, বিশপ কনফারেন্সের বক্তব্য কেন্দ্রের ব্যর্থতাকেই আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। বড়দিনের প্রাক্কালে এই পরিস্থিতি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।