এই নির্দেশের গুরুত্ব বেড়েছে কারণ এর ঠিক দু’দিন আগেই বিজেপির ব্রাহ্মণ বিধায়কদের একটি নৈশভোজ বৈঠক হয়েছিল। কুশীনগরের বিধায়ক পি এন পাঠকের বাড়িতে আয়োজিত ওই বৈঠকে কয়েক জন বিধায়ক ও এমএলসি উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, সেখানে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দলের পক্ষপাতিত্ব এবং বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব একে ‘দলের সংবিধান ও মূল্যবোধের পরিপন্থী’ বলে মন্তব্য করে।
এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করছে, বিজেপির অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিধানসভার বাদল অধিবেশনের সময় লখনউতে ক্ষত্রিয় বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার তুলনা টেনে বিভাজনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
যদিও বিজেপির কয়েক জন বিধায়ক দাবি করেছেন, ওই বৈঠকে সামাজিক ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, আলোচনার বিষয় ছিল এসআইআর। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, ব্রাহ্মণদের সামাজিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এই প্রেক্ষাপটেই পঙ্কজ চৌধুরীর বক্তব্য, বিজেপি কোনও নির্দিষ্ট জাতি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে রাজনীতি করে না। দল নীতি ও সংবিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত— এই বার্তাই দিতে চেয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।