নোটবন্দির সময়ের দ্বিগুণ নগদ বাজারে

নোটবন্দির প্রতিবাদ

দিল্লি, ২২মার্চ- নোটবন্দির সময় ঘোষণা করা হয়েছিল বাজারে কালো টাকা বন্ধ হবে। ফলে বাজারে চালু নগদ নোটের সংখ্যা কমে যাবে, বলা হয়েছিল এমনটাই। উল্টো দেখা যাচ্ছে, নোটবন্দির সময় যে পরিমাণ নোট বাজারে ছিল, এ বছরের ১৫মার্চের মধ্যে তা দ্বিগুণ পরিমাণে ফিরে এসেছে। নোটবন্দির সময় বলা হয়েছিল কালো টাকা নির্মূল করতে এবং নকল টাকা আটকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে সময় বাজারে নোট ছিল ১৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ বাজারে রয়েছে ২১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, বাজারে নোটের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ডিজিটাল লেনদেন বাড়া সত্ত্বেও এক বছরে নোটের পরিমাণ বেড়েছে ৩লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নোটের পরিমাণ কমে যায় প্রায় ৯লক্ষ কোটি টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে ক্যাশলেস অর্থনীতির কথা বলা হলেও নগদ টাকার পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সরকারি ব্যাখ্যা হল , ভোটের আগে এবং রবি শস্য চাষের গোড়ায় নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। আর বাড়ে উৎসবের মরশুমে। অন্যদিকে, উদ্বেগ বাড়িয়ে ব্যাঙ্কগুলিতে কমছে টাকা জমা রাখার পরিমাণ।