বিজেপি শাসিত রাজ্যে জাত এবং গায়ের রং নিয়ে কু-মন্তব্যের প্রতিবাদ করার জেরে খুন এক পড়ুয়া। ছুরি ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয় এক পড়ুয়া এবং তাঁর দাদার উপর। গুরুতর আহত দুই ভাইকে এরপর ভর্তি করা হয় দেরাদুনের একটি হাসপাতালে। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয়েছে পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম অ্যাঞ্জেল চাকমা। বয়স ২৪ বছর। তিনি ত্রিপুরার বাসিন্দা। দেরাদুনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে। অ্যাঞ্জেলের বাবা, যিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে কর্মরত, ছেলের দেহ নিয়ে ত্রিপুরার নিজ গ্রামে শেষকৃত্যের জন্য রওনা হয়েছেন।
দেরাদুনের সিনিয়র পুলিশ সুপার অজয় সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে অ্যাঞ্জেলের পরিবার। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন, যিনি নেপালের নাগরিক বলে খবর, তিনি সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। খবর অনুসারে, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধেয় অ্যাঞ্জেল ও তাঁর দাদা মিশেল চাকমা বাজারে গেছিলেন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। সেই সময় কয়েক জন মদ্যপ ব্যক্তি তাঁদের উদ্দেশে জাত ও গায়ের রং নিয়ে গালি দিতে শুরু করে।
দাদার দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ছুরি ও লোহার রড দিয়ে ওর উপর হামলা চালায়। গত ১২ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হামলায় অ্যাঞ্জেলের মাথা ও গলায় গভীর ক্ষত হয়। গুরুতর অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা চললেও শেষরক্ষা হয়নি। ত্রিপুরার বাসিন্দা অ্যাঞ্জেল দেরাদুনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া ছিলেন। তিনি বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন।