আজ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নির্বাচনে উপরাষ্ট্রপতি দৌড়ে একদিকে রয়েছেন ‘এনডিএ’ সমর্থিত প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ। অন্যদিকে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সমর্থিত বি সুদর্শন রেড্ডি। দু’জনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যদের ভোটদানের মাধ্যমে। কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন সোমবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বড় ঘোষণা তেলেঙ্গানার বিআরএস (ভারত রাষ্ট্র সমিতি) এবং ওড়িশার বিজেডির (বিজু জনতা দল)-এর। ওড়িশা এবং তেলঙ্গানার দুই প্রধান বিরোধী দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল তাঁরা এই নির্বাচনে থাকছে না। দুই হেভিওয়েট দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা এই নির্বাচন বয়কট করলেন। এমনকি তেলেঙ্গানার বিআরএসের তরফে ‘নোটা’ প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়েছে, ‘উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নোটা থাকলে বিআরএস ‘নোটা’ বিকল্পটি ব্যবহার করত’।
উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদেরা প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দেন। প্রার্থীদের প্রাপ্ত প্রথম পছন্দের ভোট এক হলে, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গোনা হয়। সংসদীয় পাটিগণিতের হিসেবে বেশ কিছুটা এগিয়ে রাধাকৃষ্ণন। ‘এনডিএ’ শরিকেরা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসও সমর্থন জানিয়েছে তাঁকে। কিন্তু এদিন বিআরএস (ভারত রাষ্ট্র সমিতি) এবং ওড়িশার বিজেডির (বিজু জনতা দল)-এর নির্বাচন বয়কটের ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ‘এনডিএ’ এবং ‘ইন্ডিয়া’ দুই শিবির।
তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর নামেই যিনি পরিচিত) পুত্র তথা বিআরএসের কার্যনির্বাহী সভাপতি কেটি রামা রাও দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। অন্য দিকে, ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীনের তরফে বিজেডির রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির (পিএসি) সদস্য তথা সাংসদ সস্মিত পাত্র দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
রামা রাও বলেন, ‘তেলেঙ্গানায় ইউরিয়ার ঘাটতি নিয়ে কৃষকেরা দুর্দশার মুখে পড়েছেন। তাঁদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে আমাদের দল ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে।’ অন্যদিকে সস্মিত পাত্র বলেন, ‘আমরা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’, দু’টি জোট থেকেই সমদূরত্ব বজায় রাখতে চাই। আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ ওড়িশা এবং তার সাড়ে চার ৪ কোটি মানুষের উন্নয়নের উপর।’
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে হঠাৎই ইস্তফা দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য মঙ্গলবার ভোটাভুটি হচ্ছে। জয়ী প্রার্থী আগামী পাঁচ বছর, অর্থাৎ পুরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিদ্বন্দ্বী এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন এবং ‘ইন্ডিয়া’-র বি সুদর্শন রেড্ডির (অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি) মধ্যে।