প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল দিয়ে সাহায্য, বোনের নাবালিকা বন্ধুকে ধর্ষণ দাদার

প্রেমিকের সঙ্গে যাতে কথা বলতে পারে, সেজন্য তার নিজের মোবাইল ফোনটি এক বন্ধুকে দিয়েছিল এক নাবালিকা। সেই রাগে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুর দাদার বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ২ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার পুরীতে।  

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ধর্ষণে ঘটনা ঘটে পুরীর চন্দনপুর থানার বীরনরসিংহপুর এলাকায়। কালীপুজোর বিসর্জন দেখতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকার বাবা ও মা। ঘরে ৭ বছরের ভাইকে নিয়ে একাই ছিল ১৬ বছর বয়সের মেয়েটি। পুরীর পুলিশ সুপার প্রতীক সিং জানিয়েছেন, বাড়িতে অভিভাবক স্থানীয় কেউ না থাকায় সুযোগ পেয়ে যায় ওই দুই প্রতিবেশী যুবক।  তারা জোর করে ঢুকে পড়ে বাড়িতে এবং নির্যাতন চালায়।  অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে ২ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। শনিবারই মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়। তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

চন্দনপুর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক অভিযুক্তর ই নাবালিকার উপর রাগ ছিল। ওই অভিযুক্তর বোনের সঙ্গে এক জনের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সে যাতে ওই কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে পারে সেই কারণে তাকে নিজের মোবাইল ফোন দিয়েছিল ওই নাবালিকা।


অন্য দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওড়িশা সরকারকে নিশানা করেছে বিজেডি। বিজেডি নেতা লেনিন মোহান্তির অভিযোগ, ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অপরাধ বেড়ে গিয়েছে। মহিলারা কেউ সুরক্ষিত নন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

ময়ূরভঞ্জ এলাকাতেও ২ নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৫ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ।গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়তে থাকার জন্য সেই রাজ্যের সরকারকেই দায়ী করেছে বিজেডি।