ভারতের অর্থনীতির প্রশংসা করে ট্রাম্পকে খোঁচা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের

শুল্কের খাঁড়া চাপানোর পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত অর্থনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই প্রসঙ্গে মোদীর পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘ভারতে আসার পর আমি সবকিছুই ইতিবাচক দেখছি। নয়াদিল্লি ক্রমেই সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। আমরা তাদের এই যাত্রার অংশীদার হতে চাই।‘ তিনি দাবি করেছেন, ‘২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে। মোদীর ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ২০৪৭ সালের মধ্যে আপনার বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।‘

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই কিয়ের স্টার্মারের প্রথম ভারত সফর। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ভারতে এসেছেন একশোরও বেশি ব্রিটিশ উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি।  যা ব্রিটিশ ইতিহাসে ভারতের উদ্দেশে সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি দল বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়েক মাস আগেই, ভারতকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি পরোয়া করি না, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে। তারা চাইলে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যাক।‘ সেই মন্তব্যের পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের পণ্যে শুল্ক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। তবে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর ট্রাম্পের ওই দাবি কার্যত খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতির ইঙ্গিতও মিলেছে।


অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই সফর কূটনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।  দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্রিটেন সফরের সময়  মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি  নিয়ে আলোচনায় হয়েছিল।  এবার সেই চুক্তি আরও একধাপ এগোতে পারে। চুক্তি কার্যকর হলে ব্রিটেন ভারতীয় পোশাক, জুতো ও খাদ্যপণ্যে শুল্ক কমাবে।  অন্যদিকে ভারত হুইস্কি, প্রসাধনী ও চিকিৎসা সামগ্রীর মতো ব্রিটিশ পণ্যে শুল্ক হ্রাস করবে।

উল্লেখ্য. জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকেও সমর্থন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কমনওয়েলথ ও জি২০-তে একসঙ্গে কাজ করি। ভারতকে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়ার সময় এসেছে।‘ রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও আফ্রিকান ইউনিয়নের পর এবার ব্রিটেনও ভারতের দীর্ঘদিনের দাবির পক্ষে সমর্থন জানাল।