আগামী ১৫ জানুয়ারি বৃহন্মুম্বই পুর কর্পোরেশনের নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্দরে শুরু হয়েছে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন।
সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে মহাজোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অজিত পাওয়ারের এনসিপি-কে সমর্থন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বাধীন বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এই নির্বাচনের প্রচারের মূল দায়িত্বে থাকবে।
শিন্ডের বক্তব্য, মুম্বইয়ে মারাঠি ভোটব্যাঙ্ক শিবসেনার সঙ্গেই রয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের বেশি আসনে লড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। এই দাবিকে ঘিরেই জোটের ভিতরে আলোচনা জোরালো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোট ২২৭টি আসনের মধ্যে ১২৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার দাবি করেছে। যদিও বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এই সংখ্যা এখনও প্রস্তাবের পর্যায়েই রয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, বিজেপি চাইছে ১৪০ থেকে ১৫০টি আসনে লড়তে। পাল্টা প্রস্তাব হিসেবে শিবসেনাকে ৮০ থেকে ৯০টি আসন দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। কিন্তু তাতে রাজি নয় শিন্ডের শিবসেনা শিবির।
সেনার শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, মুম্বইয়ে দলের সংগঠন মজবুত। মারাঠি ভোটারদের বড় অংশ এখনও তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। সেই যুক্তিতেই অতিরিক্ত আসনের জন্য চাপ বাড়ানো হচ্ছে। জোটের অন্দরে জানানো হয়েছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে শেষ কথা বলবে সমন্বয় কমিটি। তবে জোটের প্রধান লক্ষ্য একটাই। অবিভক্ত শিবসেনার দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটি বিএমসি দখল করা।
বিএমসি ছাড়াও রাজ্যের সব স্থানীয় নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার পরিকল্পনা করেছে মহাজোট। ঠিক হয়েছে, মুম্বই ও থানেতে বিজেপি ও শিবসেনা লড়াই করবে। পুনে ও পিমপ্রিতে লড়বে এনসিপি। নাসিকে কারা লড়বে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এর মধ্যেই বিরোধী শিবিরেও নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং রাজ ঠাকরের এমএনএস জোটের ঘোষণা করবে। মঙ্গলবার রাজ ঠাকরে এবং শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাউত জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সব স্থানীয় নির্বাচনেই তাঁরা একসঙ্গে লড়বেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এই জোটে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।