কমলনাথের সরকার ফেলতে কলকাঠি নেড়েছিল বিজেপি, ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে চাঞ্চল্য

শিবরাজ সিং চৌহান (File Photo: IANS)

এমনিতেই করোনা সংক্রমণে দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। তারমধ্যে হিন্দিবলয়ের ওই রাজ্যের রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ১৫ মাসের কমলনাথ সরকারের পতন ঘটাতে যে বিজেপি কলকাঠি নেড়েছিল সেই অভিযোগ আগেই তুলেছিল কংগ্রেস।

এবার ওই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস দাবি করল, বর্তমান বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের ওই কথোপকথনেই স্পষ্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই মধ্যপ্রদেশের কমলনাথের সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে কংগ্রেসের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অডিও ক্লিপের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, যে কণ্ঠস্বরকে শিবরাজের বলা হচ্ছে তা তাঁর নয়। ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লিপ্রে সত্যতা দ্য ওয়াল-ও যাচাই করে দেখেনি। ক্লিপে শোনা যাচ্ছে একজন (যেটিকে কংগ্রেস দাবি করছে শিবরাজের গলা) বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই প্রথম সিদ্ধান্ত নেয়, সরকারকে গদিচ্যুত করা হবে। তারপর যা হওয়ার হয়। তিনি এও বলছে, আপনি আমাকে বলুন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তুলসী সিলওয়াতকে না সরালে কি এটা সম্ভব হত?


জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ইন্দোরের সানওয়ারে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এই কথা বলেছে শিরাজ। জ্যোতিরাদিত্য এবং তুলসী দু’জনেই কংগ্রেস ছেড়ে কয়েক মাস আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের পিছু পিছু গেরুয়া শিবিরে যান ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। এরপরই সরকারে থাকার সংখ্যা হারায় কংগ্রেস। ২০ মার্চ ফ্লোর টেস্টের আগে ইস্তফা দেন কমলনাথ।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শিবরাজ সরকারকে ভোটে হারিয়েই মধ্যপ্রদেশের গদিতে বসেছিল কংগ্রেস। এমনিতেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস গোষ্ঠী কোন্দলে বিদীর্ণ। কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য, সুরেশ পাচৌরি অসংখ্য গোষ্ঠী প্রদেশ কংগ্রেসে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাহুল গান্ধির আস্থাভাজন জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যাওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন, এবার বোধহয় মধ্যপ্রদেশে খেলা ভাঙার খেলা শুরু হবে। কাকতালীয় ভাবে হয়েছিলও তাই।

জ্যোতিরাদিত্যর বাবা প্রয়াত মাধব রাও সিন্ধিয়া ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধিদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসের তরফে নরেন্দ্র সালুজা সংবাদমাধ্যমে বলেছে, শিবরাজের অডিও ক্লিপে স্পষ্ট যে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাই অগণতান্ত্রিক পথে সরকার ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আপাতত ২০৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। ২৪ আসনে উপনির্বাচন হবে। সেপ্টেম্বর নাগাদ সেই ভোট হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।