উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসন্ন। তার আগে প্রার্থী বাছাইয়ে জোর দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা, বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান, গুজরাতের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, কর্ণাটকের থাওয়ারচাঁদ গেহলট, সিকিমের ওম মাথুর এবং জম্মু–কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা প্রমুখের নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ৯ সেপ্টেম্বর। রবিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বেছে নিল এনডিএ। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ঘোষণা করেন, এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হচ্ছেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ।

প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছিলেন, এনডিএ জোটের সকল শরিক ঠিক করেছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও জেপি নাড্ডা পছন্দ করবেন। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন, সবার মত নিয়েই প্রার্থী নির্বাচন হবে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক রাজ্যপাল ও উপ-রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২১ আগস্ট পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ২২ আগস্ট স্ক্রটিনি।

প্রসঙ্গত, মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছর আগেই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। গত ২১ জুলাই তিনি নিজের ইস্তফাপত্র পাঠান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। ইস্তফাপত্রে ধনখড় শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে বিরোধীরা এই যুক্তি মেনে নেয়নি। বিরোধীদের মতে, কেন্দ্রের সঙ্গে, মূলত নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় কারণেই ইস্তফা দিতে হয়েছে জগদীপ ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদেরা। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেন তাঁরা। উপরাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ ৫ বছর। আগামী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার দু’বছর আগেই ধনখড় পদত্যাগ করায় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনও দু’বছর এগিয়ে এসেছে।