হায়দরাবাদের চেরলাপল্লি এলাকায় এক রাসায়নিক কারখানায় হানা দিয়ে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করল মুম্বই পুলিশের মাদকবিরোধী শাখা ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ওই কারখানার আড়ালেই বহুদিন ধরে চলছিল একটি আন্তর্জাতিক মাদক তৈরির চক্র, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযানে ধৃত ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন এক বিদেশি নাগরিক, কারখানার মালিক শ্রীনিবাস ভালোটি ও তাঁর অন্যতম সহযোগী তানাজি পাটেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে মিশে তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেন পুলিশের নির্দিষ্ট কিছু চর। সেই গোয়েন্দাগিরির ফলেই ধরা পড়ে চক্রটির অবস্থান ও কার্যকলাপ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সম্প্রতি হায়দরাবাদের ওই সন্দেহভাজন কারখানায় হানা দেয় মুম্বই পুলিশের বিশেষ দল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
এই অভিযানে ৩২ হাজার লিটারেরও বেশি মাদক তৈরির কাঁচামাল এবং মাদক উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত উন্নত যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই কারখানায় উৎপাদিত মাদক শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও সরবরাহ করা হচ্ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই কারখানাটি সিল করে দিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মাদক চক্রের আরও সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তদন্তকারী দল। তদন্তকারীদের মতে, এটি সাম্প্রতিককালের অন্যতম বৃহৎ ও সফল মাদকবিরোধী অভিযান।