বেঙ্গালুরুর বাসস্ট্যান্ডে পরিত্যক্ত ব্যাগে মিলল জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের অনুষ্ঠানের ঠিক আগে শহরের ব্যস্ততম এলাকায় মিলল বিস্ফোরক, যা নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্ধারিত অনুষ্ঠানস্থলের অদূরে কে আর মার্কেট এলাকার একটি বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে ছ’টি জিলেটিন স্টিক এবং একাধিক ডিটোনেটর। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে গোটা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাসস্ট্যান্ডের শৌচালয়ে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন এক বাসকর্মী। সন্দেহ হওয়ায় তিনি তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানান। পরে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বম্ব স্কোয়াড। ব্যাগ খুলে দেখা যায়, তার ভিতরে রয়েছে ছ’টি জিলেটিন স্টিক ও কয়েকটি ডিটোনেটর। ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত আর কোনও সন্দেহজনক বস্তু মেলেনি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

কে বা কারা এই ব্যাগটি রেখে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একজন ব্যক্তি ব্যাগ হাতে শৌচালয়ে ঢুকছেন এবং কিছুক্ষণ পর খালি হাতে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তাঁকে খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম নামানো হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) গিরিশ এস বলেন, ‘ব্যাগে যে ধরনের জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে, তা সাধারণত পাথরখাদানে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এইভাবে জনবহুল এলাকায় তা রেখে যাওয়া অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তদন্তের পরই বোঝা যাবে এর পিছনে নাশকতার কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না।’


তিনদিন পর ওই এলাকায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে বিস্ফোরক উদ্ধারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা কে আর মার্কেট এলাকা এবং আশপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে অনুষ্ঠানের স্থান এবং তার আশপাশে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর, নজরদারি ক্যামেরা এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্তে সাহায্য করছে এনআইএ এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলও।