ভাড়া কমতে পারে বন্দেভারত ট্রেনের।

কলকাতা:- বন্দেভারতের ভাড়া নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা চালানো হবে রেলের তরফে। এমনটাই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যের উপর দিয়ে ছুটে  চলেছে বন্দেভারত। বিশেষ করে ছোট রুটগুলিতে একটা বড় অংশের আসন ফাঁকা থাকছে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতীয় রেলের। বেশ কিছু বন্দেভারত ট্রেনের আসন খালি যাচ্ছে। এই বিষয়েই মূলত সমীক্ষা চালাবে রেলওয়ে। বিশেষ করে ইন্দোর-ভোপাল, ভোপাল-জব্বলপুর এবং নাগপুর-বিলাসপুরের মতো বন্দেভারতের ভাড়ার উপর সমীক্ষা চালানো হবে বলে সূত্রে খবর। প্রত্যেকটি ট্রেনেরই খালি আসনের সংখ্যা বাড়তে থাকছে। তিন ঘন্টার সফরের এই ট্রেনের চেয়ারকারের ভাড়া মাত্র ৯৫০ টাকা।। যেখানে এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া ১৫২৫ টাকা। দেশের প্রথম সেমি বুলেট ট্রেন বন্দেভারত। বন্দেভারতের সবথেকে লম্বা সফর ১০ ঘন্টার। আর সবথেকে ছোট সফর মাত্র তিন ঘন্টার। কিছু ট্রেনে আসন খালি থাকার সমস্যা মেটাতে ভাড়ার উপর সমীক্ষা চালাবে রেল। সূত্রের খবর, রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত যাত্রী যাতে বন্দেভার‍তে সাছন্দে চড়তে পারে সেজন্যেই ভাড়া নিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে।
বিশেষ করে কম দূরত্বে ছুটছে এমন বন্দেভারতের ট্রেনের ভাড়া কিছুটা কমানো হলে আরও বেশি করে যাত্রী পাওয়া যাবে বলে মত ওই আধিকারিকের। এখনও পর্যন্ত ২৪ রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত প্রদেশের উপর দিয়ে ছুটছে বন্দেভারত। আর সেই তালিকাতে রয়েছে বাংলাও। ইতিমধ্যে তিনটি বন্দেভারত পেয়েছে রাজ্য। হাওড়া থেকে পুরী, হাওড়া থেকে জলপাইগুড়ি এবং নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছে বন্দেভারত। এর মধ্যে দুটি রুট অর্থাৎ হাওড়া-পুরী এবং হাওড়া থেকে এনজিপি রুটে সপ্তাহে ছয়দিন চলে এই ট্রেন। এই দুটি রুটেই টিকিট পাওয়া খুবই মুসকিল। আগামীদিনেও  বাংলায় আরও বন্দেভারতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।