দিল্লিতে ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি, মৃত দুই

দিল্লিতে চারতলা বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল দু’জনের। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ দিল্লির সীলমপুর এলাকায় থাকা ওই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে যায় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দমকল সূত্রে খবর। এর মধ্যে ১৪ মাসের এক শিশুও আছে। শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে জিটিবি হাসপাতালে। বাকিদের জেপিসি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বাড়িটিতে ১০ জন থাকতেন। তাঁরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা, তিন জন শিশু। কী কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়ল, তা স্পষ্ট নয়।

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বাড়িটি ভেঙে পড়তে পারে, এই রকম আভাস পাওয়া যায়নি। বাড়িটি বিপজ্জনক অবস্থাতেও ছিল না। কার্যত হঠাৎই ব্রজপাতের মতো ধসে পড়ে চারতলা নির্মাণটি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সকালে বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। ভিতর থেকে চিৎকারের শব্দ পাই। এলাকার সবাই ছুটে আসে। প্রশাসনকে খবর দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি আমরা।’ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কাঠামোগত দুর্বলতার জন্য চারতলা বাড়িটি ভেঙে পড়েছে।

এর আগে শুক্রবার সকালে সেন্ট্রাল দিল্লিতে তিনতলা একটি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছিল। ওই বিল্ডিংটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হত। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৬ বছরের এক ব্যক্তির। তাঁর নাম মনোজ শর্মা। তিনি ওই বিল্ডিংয়ের একটি দোকানের কর্মী ছিলেন। জনকপুরী পশ্চিম-আরকে আশ্রম মার্গ করিডোর তৈরির কাজ করছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন। সেই কাজের জন্যই কি ওই বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? উঠেছে প্রশ্ন।


দিল্লির দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ শনিবারের ঘটনার পর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জনতা কলোনির ৫ নম্বর গলিতে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। এই এলাকাটি সীলামপুরের ইদগাহ রোডের খুব কাছে। এর আগে গত এপ্রিলে দিল্লির মুস্তফাবাদে একটি চারতলা বাড়ি ধসে প্রাণ হারান ৪ জন। আরও ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।