বাস এবং ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত অন্তত ১০ জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝরাস্তায় যাত্রিবাহী বাসে ধাক্কা মারে মালবোঝাই ট্রাক। ধাক্কা মারার পরমুহূর্তেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। বেরোতে না পেরে বাসের ভিতরেই ঝলসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের। আহত বহু যাত্রী। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার ভোরে প্রায় ২টো ৩০ মিনিটে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেঙ্গালুরু থেকে শিবমোগার দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রিবাহী বাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। ট্রাকটি প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে ধাক্কা মারে। তারপরই বাসটিতে আগুন লেগে যায়। বাসটিতে চালক ও কন্ডাক্টর-সহ মোট ৩২ জন ছিলেন। কোনও কোনও যাত্রী বেরোতে পারলেও কয়েক জন ভিতরেই আটকে পড়েন। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের।
বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। দুর্ঘটনায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। আহতের সংখ্যা বহু। প্রত্যেকেই ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকা মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ট্রাকটি সোজা গিয়ে বাসের ডিজেল ট্যাঙ্কে ধাক্কা মারে। ফলে বাসে আগুন লেগে যায়।’ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক জন যাত্রী প্রাণে বাঁচতে জানলার কাচ ভেঙে জ্বলন্ত বাস থেকে ঝাঁপ দেন। তবে বাকিরা বেরোতে পারেননি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আহতেরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই অন্ধ্রপ্রদেশে বেঙ্গালুরুগামী একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বাইকের সঙ্গে ধাক্কার পর আগুন ধরে যায় ওই বাসে। ভিতরে থাকা ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে অনেকে দরজা খুলে বেরোনোর চেষ্টা করলেও পারেননি। কেউ কেউ মরিয়া হয়ে জানলা ভেঙে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন। বাকিরা আগুনে ঝলসে যান। মৃত্যু হয় ১৯ জন যাত্রীর। সেই ঘটনার দু’মাসের মাথায় ফের একই ধাঁচের দুর্ঘটনা ঘটল।