অসমের ভয়াল বন্যায় মৃত বেড়ে ২০

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

গত কয়েকদিন অসমের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সোমবার সরকারি হিসাব জানাচ্ছ এখনও পর্যন্ত ২৩টি জেলার ২০৭২ গ্রামের ৯.২৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। গত সপ্তাহ মিলিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০।

লাগাতার ভারী বর্ষণে ফুসছে ব্ৰহ্মপুত্র নদ। অনেক এলাকাতেই ব্রহ্মপুত্রের জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। ফলে সর্বত্রই বন্যার আশঙ্কায় গ্রামছাড়া হচ্ছেন বাসিন্দারা। বন্যার জলের তলায় চলে গিয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি। নিখোঁজ বহু গৃহপালিত পশুও।

অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ এদিন জানিয়েছে, বন্যায় রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ চাড়িয়ালি, উদালগুড়ি, দারাং, লনবাড়ি, বরপেটা, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, নগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্ৰুগড়, বনগাঁইগাঁও, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, মরিগাঁও, হোজাই, পশ্চিম কাৰ্বি আংলং ও তিনসুকিয়া।


সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুসারে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯.২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বন্যার জেরে জলের তলায় চলে গিয়েছে ৬৮৮০৬ হেক্টর চাষের জমি। আপাতত ১৯৩টি ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তাতে মোট ২৭৩০৮ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পেরেছেন।

সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছে শুধু মানুষেরই ক্ষতি হয়েছে তা নয়, এ বছরের বন্যায় গবাদি পশুরও ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশুদের বাঁচাতে মানুষ বুক জলের ওপর দিয়ে তাদের নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন।