প্রিয় গায়কের অকাল মত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা অসম-সহ উত্তর-পূর্ব। রবিবার দিল্লি হয়ে গুয়াহাটি পৌঁছেছে জুবিনের মরদেহ। গায়ককে শেষবার চোখের দেখা দেখতে ভিড় জমিয়েছে অসমের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। প্রকৃতিও যেন এদিন চোখের জলে গায়ককে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে প্রয়াত হন সঙ্গীত শিল্পী জুবিন গার্গ। স্কুবা ডাইভিং-এর সময় এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অসমের ‘আইকন’ জুবিন।
ইতিমধ্যেই গায়কের মত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অসম সরকার। সুরের জাদুকরের এই অকস্মাৎ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগী থেকে সঙ্গীতপ্রেমীরা। ভিনদেশে ভূমিপুত্রের মৃত্যুতে আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোমবার সিঙ্গাপুর থেকে এসে পৌঁছেছে গায়কের মৃত্যুর শংসাপত্র। তাতে জলে ডুবে মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর হাই কমিশন গায়কের মৃত্যুর শংসাপত্র পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাতে জলে ডোবার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে, এটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ তদন্তও চলার কথা জানান হিমন্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অসম সরকারের মুখ্যসচিব কথাও বলছেন। সিঙ্গাপুরের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং তাঁর গাইডের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে আলাদা করে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
সিঙ্গাপুরের নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার কথা ছিল জুবিন গার্গের। কিন্তু তার আগেই সুরের সফর ছেড়ে চির বিদায় নিলেন সকলের প্রিয় গায়ক জুবিন। এই মুহূর্তে চলছে গায়কের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। ২৩ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে গায়কের শেষকৃত্য করা হবে।