শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা গোটা দেশের কাছেই উদাহরণ হয়ে উঠছে। এমনই মন্তব্য করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চণ্ডীগড়ে এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাব প্রমাণ করেছে, সঠিক নীতি আর সৎ প্রশাসন থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
কেজরিওয়াল জানান, পাঞ্জাবে সরকারি স্কুলগুলির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত, প্রশিক্ষিত শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশের ওপর জোর দেওয়ার ফলে সরকারি স্কুলের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। তাঁর কথায়, ‘একসময় সরকারি স্কুল নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় আর অনীহা ছিল, আজ তার চিত্র বদলে গিয়েছে।’
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে কেজরিওয়াল বলেন, পাঞ্জাবে সাধারণ মানুষের জন্য উন্নত ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিষেবার মান বেড়েছে, বিনামূল্যে ওষুধ এবং পরীক্ষা সাধারণ মানুষের চিকিৎসার খরচ অনেকটাই কমিয়েছে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য কোনও বিলাসিতা নয়, এটা মানুষের মৌলিক অধিকার। পাঞ্জাব সরকার বাস্তবে সেটাই দেখিয়েছে।’
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও পাঞ্জাব সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনও ঘুষ বা তদবির ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, ‘যখন যুবসমাজের হাতে কাজ থাকে, তখন রাজ্যের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত থাকে।’
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাবের এই সাফল্য দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজনীতি যদি মানুষের জন্য হয়, তাহলে ফলও মানুষের পক্ষেই আসে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কাজ— এই তিন স্তম্ভের ওপর ভর করেই শক্তিশালী সমাজ গড়ে ওঠে।’ ফলে তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।