উত্তরাখণ্ডের চামোলির মানায় শনিবার সকালে উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পর দেড় ঘণ্টার মধ্যে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের আরও ১৪ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও উদ্ধারকাজ চলছে। উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের কাছে চামোলিতে তুষারধসে আটকে পড়েন ৫৫ জন শ্রমিক। এখনও ৫ জন শ্রমিক সেখানে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার থেকেই উদ্ধারকাজের উপর নজর রেখেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। শনিবার চামোলি জেলার মানা গ্রামে হেলিকপ্টার থেকে তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। জোশীমঠে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় প্রবল তুষারপাত হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে বদ্রীনাথের কাছে চামোলিতে হিমবাহ ভেঙে পড়ে। বরফের নিচে আটকে পড়েন বিআরও-র ৫৫ জন জন শ্রমিক। খবর পাওয়া মাত্রই যুদ্ধকালীন ততপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট ৩৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরপর অন্ধকার ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। শনিবার সকাল থেকেও রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ উদ্ধারকাজ চালায়। হাত লাগায় ভারতীয় সেনাও।শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁদের মধ্যে ৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বার বার বাধা পায় উদ্ধারকাজ। হনুমান চটি থেকে বদ্রীনাথ প্রায় ২০ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের পুরোটাই সাদা বরফের চাদরে ঢাকা। শনিবার সকালে আবহাওয়া পরিস্কার হওয়ার পর ফের নামানো হয় হেলিকপ্টার। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের জোশীমঠে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, আহত শ্রমিকদের মধ্যে ৪ জনের চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান।
বদ্রীনাথের মানায় তুষারধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে চামোলির পুলিশ। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ১১ জন করে শ্রমিক রয়েছেন এই তালিকায়। এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের ৭ জন, জম্মু-কাশ্মীরের ১ জন এবং পাঞ্জাবের ১ জন শ্রমিক রয়েছেন।