অনমোল বিষ্ণোইকে বহিষ্কার আমেরিকার, ফেরানো হচ্ছে ভারতে

জীশান সিদ্দিকি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই অনমোল বিষ্ণোইকে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডসহ আরও অনেকগুলি অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে অনমোলের উপর। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মঙ্গলবার তাঁকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। তাঁর পরিবারের কাছে এই সংক্রান্ত ইমেইল বার্তা ইতিমধ্যে পৌঁছেছে। তাতে লেখা রয়েছে যে, অনমোলকে ১৮ নভেম্বর আমেরিকা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভারতে ফেরার কথা ১৯ নভেম্বর।

ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে অনমোলের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তত ১৮টি মামলা। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে রয়েছে অনমোলের নাম। ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করেছিল যে জঙ্গি মডিউল, তাদের অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে অনমোলের বিরুদ্ধে। এরপর অবৈধভাবে অনমোল আমেরিকায় প্রবেশ করেন এবং মার্কিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। মার্কিন ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে গত বছর নভেম্বরেই অনমোলকে আটক করেছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ। পরে ভারত এনআইএ-র অনুরোধে অনমোলের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইন্টারপোলও রেড কর্নার নোটিস জারি করে। সেই সময় অনমোলের করা আশ্রয় আবেদনের কারণে অনমোলের প্রত্যর্পণের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না।

অনমোল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বিষ্ণোই দলের অধঃপতন শুরু হয়। লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করেন, গোল্ডি ব্রার বা রোহিত গোদারা কেউ অনমোলকে জামিন পেতে সাহায্য করেননি। অবশেষে অনমোল জিপিএস ট্যাগ পরে অস্থায়ী জামিন পান। পুলিশের চার্জশিটে প্রকাশিত হয়েছে, সলমন খানের বাড়ির সামনে হামলা করার আগে বন্দুকচালকদের ন’ মিনিটের প্ররোচনামূলক ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছিলেন অনমোল। একইভাবে সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রেও তিনি হত্যাকারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানান তদন্তকারীরা। আমেরিকা থেকে অনমোলকে বহিষ্কার করার ফলে ভারতীয় গোয়েন্দারা এখন অনমোলকে দেশে এনে জেরা করার পরিকল্পনা করছেন।