টোল প্লাজা ঘিরে ফেলছেন ক্ষুব্ধ কৃষক’রা

কৃষক আন্দোলন (Photo: IANS)

বিক্ষোভরত কৃষক’রা শনিবার দিল্লির টোল প্লাজা দখল করেছে বলে জানা গিয়েছে তাই গাড়িগুলাে ফি না দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে এই কৃষক আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে কৃষকদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। কিন্তু তার আগেই দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারী কৃষকরা দিল্লিতে ঢােকা ও বেরােনাের রাস্তাগুলিতে অবরােধ করেছে। 

উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে বেশ কয়েকটি টোল প্লাজাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মােতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু কৃষকরা টোল প্লাজাগুলিকে দখল করে রেখেছে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ৯১ নং জাতীয় সড়কের উপরে একটি টোল প্লাজাতে ফি না দিয়েই চলে যাচ্ছে গাড়ি। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সমর্থকরা ওই টোল প্লাজা অবরােধ করে রেখেছেন। 

শনিবার বিকেলে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা একশ জন চারটি টোল প্লাজাতে এসেছি। সব গাড়িই ফি না দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে আমরা কুন্ডলি-বুলন্দশহর এলাকার টোল প্লাজা অবরােধ করেছিলাম। তারপর পালওয়াল-গাজিয়াবাদ টোল প্লাজাতে এসেছি। পুলিশরা বুঝিয়ে কৃষকদের টোল প্লাজা থেকে সরাবার চেষ্টা করে কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকরা পুলিশের কথা শােনেনি। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে টোল প্লাজার গাড়িগুলিকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা বলছেন, জানে দো ইসে। 


শুক্রবার জানা গিয়েছে আন্দোলনে যােগদান করতে আরও কৃষকরা ট্রাক্টরে করে দিল্লির দিকে আসছেন। পুলিশ লক্ষ্য রাখছে তারা যাতায়াতের জন্য কোনাে সরকারি মাধ্যম ব্যবহার করছেন কিনা। এছাড়া এই জমায়েতের ফলে যাতে কোনাে হিংসার ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

কিষাণ মজদূর সংঘর্ষ কমিটির নেতা এস এস পান্ডের জানিয়েছেন, প্রায় ৭০০ ট্রাক্টর দিল্লির কুন্ডলি সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে। অমৃতসরে এতদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তারা। শুক্রবার থেকে তারা রওনা দিয়েছেন দিল্লির দিকে। 

যদিও অনেকেই মনে করছেন কৃষকদের এই জমায়েতের ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সিংঘু সীমান্তে দায়িত্বে থাকা দুজন আইপিএস অফিসার করােনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই জমায়েতের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।