অমৃতসরে এনকাউন্টারে খতম গ্যাংস্টার হরজিন্দর সিং

বুধবার গভীর রাতে পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার হরজিন্দর সিংকে এনকাউন্টারে খতম অমৃতসর পুলিশ। নিহত হরজিন্দর সিং ওরফে হ্যারির বয়স ৩২ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭ নভেম্বর জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। পুলিশের মতে, রজিন্দর সিং ওরফে হ্যারি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই পুরনো গ্যাংয়ের সদস্য এবং দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।

হ্যারির কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছ পুলিশ। তাঁর এক সহযোগী আটারির বাসিন্দার সানির খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সংঘর্ষস্থল থেকে হ্যারিকে গুরুতর অবস্থায় গুরু নানক দেব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হ্যারি তাঁর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। গোপনে ভার্চুয়াল নম্বর, ভুয়ো প্রোফাইল এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই কার্যকলাপ চালানো হত।

জজ নগর মোহকামপুরার বাসিন্দা হরজিন্দর সিং ওরফে হ্যারি বেশ কয়েকটি মামলায় জেল খেটেছেন। অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার জিপিএস ভুল্লার জানিয়েছেন, অ্যান্টি-গ্যাংস্টার অপারেশন সেল তথ্য পায়, সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পাওয়া হরজিন্দর সিং ওরফে হ্যারি এবং তাঁর সহযোগী একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। এরপর পুলিশ তৎপর হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ দুই অপরাধীকে থামানোর চেষ্টা করে। পুলিশকে দেখে অপরাধীরা গুলি চালায়।


পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে হ্যারি গুরুতর আহত হন। হ্যারির সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ দ্রুত হ্যারিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, হ্যারি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, আইএসআই এবং বিদেশে অবস্থিত গ্যাংস্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। তাদের নির্দেশেই দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন তিনি।

পাঠানকোট এবং অমৃতসরে হ্যারির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হ্যারির মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ছিল তাঁর সঙ্গী সানি। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, হ্যারি এবং সানি ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আমদানি করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষস্থল থেকে দুটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।