আসন্ন দিল্লি ‍বিধানসভা নির্‍বাচনে ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা এনসিপি-র 

সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণার মুহূর্তে অজিত পাওয়ার।

অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি শুক্রবার আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। স্বাধীনভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথাও ঘোষণা করেছে এই দল। দলটি মুখ্যমন্ত্রী আতিশি এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল–সহ প্রধান রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তাদের প্রার্থী দিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, বিশ্বনাথ আগরওয়াল দিল্লি আসনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে, কালকাজিতে এনসিপি প্রার্থী জামিলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী আতিশি।
 
অজিত পাওয়ার এবং শরদ পাওয়ার দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হওয়ার পর এই প্রথম এনসিপি জাতীয় রাজধানীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। গত বছর লোকসভা ও কয়েক মাস আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও এনসিপি (অজিত) দল একসঙ্গে লড়াইয়ে নামে। আ‍বার এখন ঠিক তার ‍বিপরীত ছ‍বি। শুক্রবার দিল্লির ৩০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল অজিতের এনসিপি দল। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে তবে কী বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ফের মিলিত হতে চলেছে কাকা-ভাইপো ?
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। মোট আসনের সংখ্যা ৭০। ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি ইতিমধ্যেই দিল্লির ৭০টি আসনের জন্য তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এদিকে, বিজেপি এখনও পর্যন্ত জাতীয় রাজধানীর ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৮টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মিত্রদের বাকি দুটি আসন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
সেই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার এনসিপির তরফে ৩০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মহারাষ্ট্রে এনডিএ শরিক দল এবার বিজেপির বিরুদ্ধে লড়‍বে। এর আগেও ১১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এনসিপি। ফলে দিল্লিতে মোট ৪১টি আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল তারা।একদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী আপ ও কংগ্রেস, অন্যদিকে নিজেরই শরিক দলের বিরুদ্ধে এই লড়াই বিজেপির জন্য যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা এনডিএ-তে ভাঙনেরই ইঙ্গিত। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে মত‍বিরোধ শুরু হয় অজিত পাওয়ারের। দলের একজনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপদ দেওয়ার দাবি তুললেও মোদি-শাহরা তা মানেননি।

 জল্পনা শুরু হয়, হয়ত বিজেপি ছেড়ে ফের এক হতে চলেছে শরদ ও অজিত পাওয়ারের দুই দল। যদিও রাজনৈতিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে বিধানসভাতেও জোট জারি থাকে এনডিএতে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে কাকা ও ভাইপো ফের কাছাকাছি আসতে শুরু করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতেও তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝে শরিকের বিরুদ্ধে অজিতের এই রাজনৈতিক বিদ্রোহ কাকা-ভাইপোর এক হওয়ার সম্ভাবনা আরও উস্কে দিচ্ছে।

দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। দিল্লিতে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে এবং কোনও আসন জিততে ব্যর্থ হয়েছে।২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে এএপি ।বিজেপি ৮ টি আসন পায়।