এআই-জালিয়াতি ঠেকাতে বড় জয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এআই-জালিয়াতি ও ভুয়ো কনটেন্টের বিরুদ্ধে এক বড় আইনি লড়াইয়ে জিতে গেলেন। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অনুমতি ছাড়া ঐশ্বর্য রাইয়ের নাম, ছবি, আদ্যক্ষর কিংবা ডিজিটাল রূপ কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ডিপফেক কিংবা ফেস-মরফিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর পরিচয় বিকৃত করা যাবে না।

বিচারপতি তেজস কারিয়ার পর্যবেক্ষণ— এর জন্য শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, একজন ব্যক্তির পরিচয় অপব্যবহার তাঁর সম্মান ও মর্যাদার উপরও আঘাত হানে। আদালতের মতে, এই ধরনের কনটেন্ট সাধারণ মানুষকে ভুল বার্তা দিতে পারে। তাঁরা ভেবে বসতে পারেন, ঐশ্বর্য হয়তো কোনও পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করছেন, অথচ বাস্তবে তা নয়।

আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রত্যেকেরই ‘ব্যক্তিগত অধিকার’ আছে। বিশেষ করে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের। অর্থাৎ, নিজের নাম, ছবি বা পরিচয় কীভাবে ব্যবহার হবে, তার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবেই।


এই মামলায় হাইকোর্ট একাধিক পরিচিত ও অচেনা পক্ষকে ঐশ্বর্যর নাম, আদ্যক্ষর ‘এআরবি’, ছবি বা ডিজিটাল অবয়ব ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো কনটেন্টের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, গুগল এলএলসি-কে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মামলায় উল্লিখিত সমস্ত লিঙ্ক সরিয়ে ফেলতে হবে।

সম্প্রতি অভিনেত্রী দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছিল, যেখানে তাঁর পরিচয় বিকৃত করা হচ্ছিল। এর মধ্যে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টও ছিল, যা তাঁর মানসিক আঘাতের কারণ হওয়ার পাশাপাশি সম্মানহানিও করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে এমন কিছু বিষয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছিল, যার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই।

প্রসঙ্গত, এ ধরনের ভুয়ো কনটেন্টের শিকার তিনিই একা নন। বিশ্বজুড়ে বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ডিপফেক ও এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি ঐশ্বর্যর স্বামী অভিষেক বচ্চনও একই কারণে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।