অবশেষে শনাক্ত করা হয়েছে আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ। বিমান দুর্ঘটনার ৩ দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর দেহটি শনাক্ত করা হয়েছে। রবিবার সকালে ১১টা ১০ মিনিটে টেস্টের রেজাল্ট আসে। এরপর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে রূপাণীর পরিবারের সদস্যদের হাতে তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয়। একটি চার্টার্ড প্লেনে করে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর রাজকোটের বাড়িতে।
বিজয় রূপাণীর মেয়ে লণ্ডনে থাকেন। গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানে চড়ে মেয়ের কাছেই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু টেকঅফের মাত্র ২৭ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর জেরে বিমানে থাকা ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজয় রূপাণীও। বিমানটি মেঘানিনগর এলাকায় অবস্থিত চিকিৎসকদের একটি হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়ে। এর জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ফলে বেশিরভাগ যাত্রীদের দেহ ঝলসে, টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সেই কারণে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া কারও দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যান্য যাত্রীদের পরিবারের পাশাপাশি বিজয় রূপাণীর পরিবারের সদস্যদের থেকেও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রূপাণী। তিনি গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা ছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি পঞ্জাবের বিজেপির ইন–চার্জ পদে ছিলেন। মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ১৯ মে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল রূপাণীর। পরে সেই টিকিট বাতিল হয়। এরপর ৫ জুন তিনি লন্ডনে যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে ১২ জুনের এআই ১৭১ বিমানের টিকিট কাটেন। তিনি ওই বিমানের বিজনেস ক্লাসের ২ডি আসনের যাত্রী ছিলেন। ১২ জুন ভারতীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন রূপাণীও। রবিবার দুর্ঘটনার তিন দিন পর তাঁর দেহ শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।