আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা: ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত ২১০ জনের দেহ

গত ১২ জুন লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনার কিছুক্ষণের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ। অধিকাংশের দেহই অগ্নিকাণ্ডের জেরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া হাত-পায়ের টুকরো থেকে তাঁদের পরিচয় জানতে একমাত্র উপায় ছিল ডিএনএ পরীক্ষা। সরকারের তরফে ডিএন পরীক্ষা শুরু হয়। নিহতদের আত্মীয়েরা নমুনা দেন। তারপর দেহাংশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্য সেইসব নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ২১০ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের সকলের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

প্রিয়জনদের দেহাংশ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁদের স্বজনেরা। বৃহস্পতিবার গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ পটেল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষায় নিহতদের মধ্যে ২১০ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের সকলের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮৭টি দেহ মৃতদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি দেহগুলিও শী‌ঘ্রই মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বর্তমানে ৬৪টি দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ‘এআই১৭১’ আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। একজন ছাড়া সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীদের দেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যাত্রীদের পরিজনদের কাছ থেকে ডিএনএ-র নমুনা নিয়ে পাঠানো হয় গুজরাটের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) এবং দেশের ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এনএফএসইউ)-তে। সেই নমুনা মেলার পরই মৃতদের দেহাংশ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও ছিলেন। গত রবিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়। এরপর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সোমবার রাজকোটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বিজয় রূপাণীর।