পাঞ্জাবে সাফল্যের পর কেজরির নজর এবার গুজরাতে, শুরু প্রস্তুতি

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে রাজ্যের নেতৃত্ব তাঁর দলের হাতে তুলে দিয়েছেন পাঞ্জাবের জনতা। এর মধ্যেই ‘নতুন মিশন’ নিয়ে ফেলল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি।

দিল্লি, পাঞ্জাবের পর এবার তাঁর লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত। বছরের শেষে গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন।

ইতিমধ্যেই কর্নেল অজয় কোঠিয়াল দিশান্তকে হিমাচলে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল।


পাহাড়ি রাজ্যে সংগঠন তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। এবার গুজরাটেও ঝাড় চালানোকে পাখির চোখ করতে চাইছে আম আদমি পার্টি।

প্রকাশ্যে সেই ঘোষণাও করে দিল তারা। একটি টুইটে বলা হয়েছে, দিল্লি ও পাঞ্জাবের পর এবার গুজরাতও আপকে চাইছে।

ইতিমধ্যেই গুজরাটের বেশ কয়েকটি পুর নির্বাচনে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে আপ। সুরাটে পেয়েছে বিরোধী দলের তকমা।

এবার জোরকদমে গোটা রাজ্যজুড়েই সংগঠন বিস্তার করতে নেমে পড়তে চাইছে কেজরিওয়াল অ্যান্ড কোং শনিবার থেকে পাঁচদিন গুজরাটে হবে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ যেখানে উপস্থিত থাকবেন আপের দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই। ১৬ মার্চ পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ভগবন্ত মান।

একদিকে যখন নতুন নতুন রাজ্যে দলের প্রসার চাইছেন কেজরিওয়াল, তখন তাঁর দলের ‘জন্মভূমি’ দিল্লির জন্যও লড়ছেন জানপ্রাণ দিয়ে।

সামনেই দিল্লির পুরসভা নির্বাচন। বৃহস্পতিবার তার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে সাংবাদিক সম্মেলনও ডেকেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একটি চিঠি আসে তাদের কাছে।

যেখানে বলা হয় পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ-এই তিনটি পুরসভাকে যোগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে আপাতত স্থগিত হয়ে যায় পুরসভার নির্বাচন।

এদিন ঘটনার কড়া নিন্দা করে কেজরিওয়াল বলেন স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করাল কেন্দ্র সরকার। এই ঘটনা অসাংবিধানিক। গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।

এ দিকে নিজের রাজ্য গুজরাটের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মনোনিবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এখনও আট মাস বাকি থাকলেও শুক্রবার মেগা রোড শো করে প্রচারের দামামা বাজিয়ে দিলেন তিনি। এদিন তিনি নিজের মায়ের সঙ্গেও দেখা করেন।