প্যাঙ্গং-এর পর এবার গোগরা হটস্প্রিং নিয়ে আলােচনায় বসতে চলেছে ভারত ও চিন

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

লাদাখ সীমান্তে কিছুটা কেটেছে সীমান্তের মেঘ। তবে লাল ফৌজের আগ্রাসনের দু’দেশের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে তা মেরামত করা সহজ নয়। এহেন পরিস্থিতিতে ফের একবার বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন।

পূর্ব লাদাখে সঙঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু প্যাঙ্গং হ্রদ এলাকা থেকে আগেই সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। পিপলস লিবারেশন আর্মি তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা, শয়েশয়ে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি, হাউজার সরিয়ে নিয়েছে। প্যাঙ্গং হ্রদ লাগােয়া ৮ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে চিনের সব ট্যাঙ্ক, হাউৎজার কামান। তবে পরিস্থিতির ওপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনার উপর মহল। সেইমতাে পদক্ষেপ ও কৌশল বদলাচ্ছেন তারাও।

আর প্যাঙ্গং-এর পরেই এবার অন্যান্য বিবদমান এলাকা নিয়ে ফের আলােচনায় বসতে চলেছে দুই দেশ। এবার আলােচনা হবে লাদাখের দেপসাং সমতল, গােগরা হটস্প্রিং নিয়ে। চলতি সপ্তাহেই ওই এলাকা থেকে ফৌজ সরাতে দুই দেশের কোর কম্যান্ডার স্তরে বৈঠক হতে চলেছে।


উল্লেখ্য চিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলােমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছে চিনা বাহিনী। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধু প্যাঙ্গং হ্রদ সংক্রান্ত এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার লাদাখের দেপসাং সমতল ও গােগরা হটস্প্রিং নিয়েও আলােচনা শুরু হবে।

গত ফেব্রুয়ারি গালওয়ান সঙঘর্ষের ভিডিও প্রকাশ করেছে চিন। পাশাপাশি পাঁচ জওয়ানের মৃত্যুর কথাও স্বীকার করে নিয়েছে তারা। কিন্তু বেজিংয়ের অভিযােগ, এই খবরের মাধ্যমেই ফের একবার সীমান্তে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।