গোয়ার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ফের ভুবনেশ্বরের একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ‘নো লিমিট’ বার ও নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ওড়িশার রাজধানীর সত্য বিহার এলাকায় শুক্রবার সকালে ভয়াবহ দৃশ্য চোখে পড়ে। বার এবং নাইটক্লাবে আগুন লাগার পর তা আশেপাশের অসবাবপত্রের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বারটি ছিল ওই বিল্ডিং-এর উপরের তলায়। সেখানে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাওয়া যায়। কীভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দমকল বিভাগ ও পুলিশ। গোয়ার নাইটক্লাবেের মর্মান্তিক ঘটনার পরই ফের এই ঘটনা বিভিন্ন রেস্তোরাঁর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
শুক্রবার ভুবনেশ্বরের সত্য বিহার এলাকায় একটি নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি দোকানেও। সেটি আসবাবপত্রের দোকান হওয়ায় আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কাঠ এবং স্পঞ্জ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার পরই বাতাস দিক পরিবর্তন করায় গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। কিছুক্ষণের জন্য সেখানকার দৃশ্যমানতাও কমে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুদ্ধকালীন ততপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। আগুন যাতে অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য প্রাণ হাতে করে কাজ করেন দমকলকর্মীরা। শেষ পাওয়া খবরে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, পানশালা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বাধ্যতামূলক অনুমোদন ‘নো লিমিট’-এর ছিল না। তা সত্ত্বেও সেখানে নিয়মিতভাবে মদ এবং হুকা পরিবেশন করা হতো। স্থানীয়দেরও অভিযোগ, মদ বিক্রির জন্য ওই পানশালায় কোনও লাইসেন্স ছিল না। হুকা পরিষেবার জন্য আবগারি আইন আনুসারে কোনও অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও সেখানে কীভাবে অবৈধভাবে মদ ওবং হুকা পরিবেশন করা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গত ৬ ডিসেম্বর রাতে গোয়ার নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়। নাইটক্লাবের অবস্থিতি, ক্লাবের নকশা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার মধ্যেই ওড়িশার বার ও নাইটক্লাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল।