দেশের মোট ৭ হাজার ৯৯৩টি স্কুলে ২০২৪-২৫ সালে কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি। এই স্কুলগুলিতে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আগের বছরের রিপোর্টের তুলনায় এবছরের রিপোর্ট সন্তোষজনক। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশে ভর্তিশূন্য স্কুলের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৯৫৪। চলতি বছর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিকায় বাংলা সহ রয়েছে তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্য।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি এই ধরনের স্কুল রয়েছে যেখানে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে একজনও ভর্তি হয়নি। স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যাতেও এগিয়ে বাংলা ও তেলেঙ্গানা। রাজ্যে মোট ৩ হাজার ৮১২টি স্কুল ভর্তিশূন্য ছিল। এই স্কুলগুলিতে মোট ১৭ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষক কর্মরত। তেলেঙ্গানায় ভর্তিশূন্য স্কুলের সংখ্যা ২ হাজার ২৪৫টি। মধ্যপ্রদেশে ভর্তিশূন্য ৪৬৩টি স্কুল রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ৮১টি স্কুলে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সংখ্যা শূন্য। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলশিক্ষা রাজ্যের বিষয়। তাই স্কুলে ভর্তির বিষয়ে রাজ্যগুলিকে যথাযথ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট সংক্রান্ত এই তথ্য তাঁদের জানা নেই। রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে তবেই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র, গোয়া, অসম, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, সিকিম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশের কোনও স্কুল ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিশূন্য ছিল না। পাশাপাশি, পুদুচেরি, লাক্ষাদ্বীপ, দিল্লি, দাদরা ও নগর হাভেলি, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও এরকম কোনও স্কুল নেই যেখানে এই শিক্ষাবর্ষে কেউ ভর্তি হয়নি।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, দেশের যে সমস্ত স্কুলে মাত্র ১ জন করে শিক্ষক রয়েছেন, সেইসব স্কুলগুলিতে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট প্রায় ৩৩ হাজার ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। গোটা দেশে এই রকম স্কুলের সংখ্যা ১ লক্ষেরও বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশে এই ধরনের স্কুলের সংখ্যা সর্বাধিক। তারপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও লক্ষদ্বীপ।