অযোধ্যার রামমন্দিরের পর এবার সীতামাতার সম্মান ফেরাতে এগিয়ে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারের সীতামারির জনসভা থেকে শাহ ঘোষণা করলেন, অযোধ্যার মতোই সীতামাতার জন্মস্থানেও গড়ে উঠবে এক ভব্য মন্দির। ভোটের মুখে তাঁর এই বার্তা বিহারের রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ছড়াল।
অমিত শাহ বলেন, ‘বহু বছর ধরে প্রভু রাম তাঁবুতে থেকেছেন। তখন অনেকেই রামমন্দিরের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর রামমন্দিরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এবার পালা সীতামাতার সম্মান ফেরানোর।’ তিনি আরও জানান, ‘সীতা মাতা যেখানে যেখানে গিয়েছেন, সেই সমস্ত স্থানকে রামপথের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’
প্রাচীন কাহিনী অনুযায়ী, বিদেহরাজ জনকের রাজধানী ছিল মিথিলায়। জনকপুরে হলকর্ষণের সময় ভূমি ফুঁড়ে উঠে আসেন শিশু সীতামাতা, যাঁকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করেন রাজা জনক। সেই রাজ্য বিস্তৃত ছিল পূর্ব বিহার থেকে নেপাল পর্যন্ত। আজকের সীতামঢ়িকেই সীতামাতার জন্মস্থান হিসেবে মানা হয়। এই জনপদে সীতার নামেই জেগে থাকে এক বিশেষ ধর্মীয় আবেগ, যা বিহারের ভোটরাজনীতিতেও বড় ভূমিকা রাখে।
আগেই জানা গিয়েছিল, সীতামাতার বর্তমান জানকী মন্দিরকেই নতুন আকারে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে সেখানে শিলান্যাস, ভূমিপুজো, হোমযজ্ঞ ও আরতির মতো প্রাথমিক কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এবার শুরু হচ্ছে মন্দিরের বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্প, যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।
রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, নির্বাচনের আগে এই ঘোষণা বিজেপির ধর্মীয় আবেগের রাজনীতিতে ফের ইন্ধন জোগানো। বিশেষত মিথিলা ও আশপাশের অঞ্চলে সীতামাতার নামের প্রভাব অগাধ, যা ভোটের ফলাফলেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।