শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মৃত্যু ৮০ জনের

শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন (File Photo: AFP)

৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে। ৯ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে রেল মন্ত্রক’কে দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে আরপিএফ। রেলের ডিভিশন ধরে ধরে কোথায় কত মৃত্যু হয়েছে তার প্রাথমিক তালিকা রেলকে জমা দিয়েছে আরপিএফ। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে, এমনটাই বলা হয়েছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)-এর তরফে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট এলে দেখা যাবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ল কিনা।

ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ১ মে থেকে ফেরানো শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৭ মে পর্যন্ত ৩৮৪০ টি ট্রেন চলেছে বলে রেলের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এইসব ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরেছেন। যে ৮০ জন মারা গিয়েছে রেলের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই রোগী। তারা চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন। অনেকের বয়সজনিত অসুস্থতাও ছিল।

খাবার এবং জল না পেয়ে মৃত্যুর যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা নাকচ করে দিয়েছে রেল বোর্ড। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পূর্ব-মধ্য, উত্তর, উত্তর-মধ্য জোনে। মৃতদের বয়স ৪ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে আরপিএফ।


শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে একাধিক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা সন্তান প্রসবের ঘটনাও ঘটেছে। এব্যাপারে রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল দু’দিন আগে আবেদন করেছিলেন, কোনও অসুস্থ এবং অন্তঃস্বত্ত্বা কোনও শ্রমিক যেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে না ওঠেন। সেই সঙ্গে ১০ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বেও কেউ যেন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে না ওঠেন তারও আর্জি জানানো হয়েছিল রেলমন্ত্রীর তরফে।

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাদাগাদি করে শ্রমিক এক্সপ্রেসে শ্রমিক আনার বদলে করোনা এক্সপ্রেস ঢুকিয়ে দিতে চাইছে, এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন। জল ও খাবারের কোনও সুষ্ঠু বন্দোবস্ত নেই বলেও তাঁর অভিযোগ ছিল।

সেই সঙ্গে মঙ্গলবার কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও তোলপাড় করে দিয়েছিল দেশ। মৃত মায়ের শাড়ির আঁচল টেনে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করছে একটি শিশু। তারপরই শ্রমিকদের দুর্দশা ঠিক কতটা তা নিয়ে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার আরপিএফের কাছ থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে কতজন মারা গিয়েছে তাদের কি রোগ ছিল বা কি কারণে মৃত্যু, তা তথ্য সহকারে তুলে ধরে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে চাইছে কেন্দ্র।