দেশের আসন্ন উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবার মোট ৭টি ভোট কম পড়বে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে ৭৮১টি আসন থাকলেও ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট আসনটি বর্তমানে শূন্য। এর পাশাপাশি রাজ্যসভায় জম্মু-কাশ্মীরের ৪টি, ঝাড়খণ্ডের একটি এবং পাঞ্জাবের একটি আসন খালি রয়েছে। পাঞ্জাবের আসনটি খালি হয়েছে আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জীব অরোরার পদত্যাগের কারণে, আর জেএমএম নেতা শিবু সোরেনের মৃত্যুর পর থেকে ঝাড়খণ্ডের আসনটি খালি রয়েছে।
নির্বাচনে জিততে যেকোনো প্রার্থীর ৩৯১ ভোটের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে লোকসভায় এনডিএর হাতে রয়েছে ২৯৩টি ভোট এবং রাজ্যসভায় ১২৯টি ভোট। সেই হিসেবে, মোট ৪২২ জন সাংসদের সমর্থন নিয়ে এনডিএ এবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। ফলে এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণনের জয় প্রায় নিশ্চিত বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এবারের নির্বাচনটি আরও বিশেষ হয়ে উঠছে জম্মু-কাশ্মীরের কারণে। কারণ, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যসভায় ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও সদস্য নেই। শেষবার গুলাম নবি আজাদ ও নাজির আহমেদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-তে। তার আগেই ফয়াজ মীর ও শমশের সিং অবসর নিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে নতুন বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও রাজ্যসভায় আসন পূরণ হয়নি।
এনডিএর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ৭টি ভোট কম থাকার কারণে বিরোধী শিবিরও কৌশলগতভাবে কিছু হিসাব-নিকাশ করছে বলে সূত্রের খবর। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ফারাক যতই থাকুক, সংখ্যার হিসেবে রাধাকৃষ্ণনের জয় নিশ্চিত। প্রশ্ন শুধু ব্যবধানের।’
কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যসভা আসনের মেয়াদ নির্ধারণে কোনো নতুন বিধান নেই। নির্বাচন কমিশন আগে প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে প্রতি দুই বছরে এক-তৃতীয়াংশ আসন খালি হওয়ার মতো ব্যবস্থা রাখা যায়। কিন্তু মন্ত্রক সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি।
ফলে দেশের ইতিহাসে এটাই দ্বিতীয়বার, যখন বড় কোনো নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীর থেকে কোনো রাজ্যসভা সদস্য ভোট দিতে পারবেন না। এর আগেও ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একই পরিস্থিতি হয়েছিল। এবারও সেই অনুপস্থিতি নজর কাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।