পাটিয়ালায় আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার ৭ টি রকেট ও গোলাবারুদ

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পাঞ্জাবের পাটিয়ালায় আবর্জনার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হল কমপক্ষে ৭টি রকেট। পাটিয়ালার সোমবার দুপুরে ৭টি রকেট ও গোলাবারুদ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাটিয়ালার সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ নানক সিং জানিয়েছেন, ‘গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে রাজপুরা রোডের একটি আবর্জনার স্তূপে পুলিশ সন্দেহজনক কিছু বস্তু খুঁজে পায়। পুলিশের ঘণ্টাখানের তল্লাশি অভিযানের পর এগুলির হদিশ মেলে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কোনও এক স্ক্র্যাপ ডিলার এই গোলাবারুদগুলি আবর্ডজনার স্তূপে ফেলে রেখেছিল। কিন্তু তাঁরা অন্য কোনও কিছুর সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। 

পাটিয়ালার জপুরা রোডের ধারে আবর্জনা ফেলার একটি জায়গায় সেগুলি পড়ে ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে স্থানীয় থানায় খবর যায়, ওই আবর্জনার স্তূপে কিছু সন্দেহজনক বস্তু পড়ে রয়েছে। সেই মতো ওই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধান পায় রকেটগুলির। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে এবং নিশ্চিত হতে চাইছে যে, এগুলি কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অংশ ছিল কিনা। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি পাটিয়ালা থানার পুলিশ। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঞ্জাবের তার্ন তরণ জেলায় একটি পুলিশ স্টেশনে রকেট প্রোপেলড গ্রেনেড আক্রমণ হয়। এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে পাটিয়ালা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। এই আক্রমণের ৭ মাস আগে ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাব পুলিশের ইন্টলিজেন্স সদর দপ্তর মোহালিতে আরপিজি হামলা হয়। সেই সময় ওই হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা ছিল। এবার আবার রকেট ও গোলাবারুদ উদ্ধার হওয়ায় ফের নাশকতার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।


পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে প্রায়শই ড্রোন উদ্ধার করেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান এবং পুলিশ-প্রশাসন। মূলত সীমান্তের ও পার থেকে মাদক পাচারের জন্য এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করা হয় বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে এই অস্ত্রগুলির সঙ্গে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র জড়িত কিনা তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।