উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে প্রাইভেট চপার ভেঙে মৃত্যু হল ৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন একজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রী যাচ্ছিল চপারটি। সেই সময় বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে চপারটি। গারোয়ালের ডিভিশনাল কমিশনার বিনয়শঙ্কর পাণ্ডে দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রের খবর, পাইলট সহ মোট ৭ জন ছিলেন চপারটিতে। সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই মাঝ আকাশে বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে সেটি। আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দুর্গম এই জায়গা থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে পৌঁছয় সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, অ্যাম্বুল্যান্স।
ভাটওয়ারির বিডিও-ও ঘটনাস্থলে যান। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৬ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। উত্তরকাশীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও ঘটনাস্থলে যান। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই চপারটি এয়ারো ট্রান্স কোম্পানির। চারধাম যাত্রার পুণ্যার্থীদের নিয়ে চপারটি রওনা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভাগীরথী নদীর কাছে নাগমন্দির এলাকায় ভেঙে পড়ে সেটি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জখমদের প্রশাসনের তরফে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে খবর।
দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন – মুম্বইয়ের বাসিন্দা কালা সোনি (৬১), বিজয়া রেড্ডি (৫৭), রুচি আগরওয়াল (৫৬), উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা রাধা আগরওয়াল (৭৯) এবং অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা বেদাবতী কুমারী (৪৮)। ভাস্কর নামে অন্ধ্র প্রদেশের এক বাসিন্দা আহত হয়েছেন। কপ্টারটির পাইলট ক্যাপ্টেন রবিন সিংয়েরও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।
এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী ধামি লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীর গঙ্গনানি সংলগ্ন এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কিছু লোকের হতাহত হওয়ার অত্যন্ত দুঃখজনক খবর এসেছে। এসডিআরএফ এবং জেলা প্রশাসনের দলগুলি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ঈশ্বর দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মাকে শান্তি দিক। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা রইল। নিয়মিত আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আহতদের সর্বোচ্চ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’