দীপাবলির পরের দিন ফি বছর ‘হিংগোট যুদ্ধ’ পালন হয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই যুদ্ধ এক ধরনের উৎসব। সেই উৎসবেই বিপত্তি! আগুনে ঝলসে গেলেন ৩৫ জন। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ইন্দোরের গৌতমপুরা গ্রামে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রতি বছর হাজারো মানুষ গৌতমপুরা এবং রুঞ্জি গ্রামের ‘তুররা’ ও ‘কালঙ্গি’ দলের মধ্যে এই যুদ্ধ দেখতে জড়ো হন। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে যোদ্ধারা নিজেদের ঢাল হাতে নিয়ে একে অপরের দিকে আগুন ভর্তি ‘হিংগোট’ ছুঁড়ে মারেন। সাহসের প্রতীক হিসেবে পালন হয় এই উৎসব। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার ব্রিগেড অ্যাম্বুল্যান্স ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নির্দিষ্ট সময়ের আধঘণ্টা আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবারের হিংগোট যুদ্ধ।
প্রতি বছরই বহু অংশগ্রহণকারী এবং দর্শক এই প্রথায় আহত হন। ২০১৭ সালে এই উৎসবে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রথা নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা দায়ের হয়। এই যুদ্ধকে ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী’ বলে অভিহিত করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তবে গ্রামবাসীরা এখনও তাঁদের ঐতিহ্য পালন করেন।