দেশে করােনায় আক্রান্ত সর্বোচ্চ ২৪ হাজার

প্রতীকী ছবি (File Photo: AFP)

একদিনে করােনা’য় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, গত ৮৩ দিনে এক কোটির বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ১১ মাস আগে হুবহু এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে কোভিড কার্ভ নেমে গেলেও এখন ফের তা শীর্ষে পৌঁছেছে। 

দেশের করােনা রেকর্ডে চিন্তা বাড়িয়েছে ছয় রাজ্য, মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও পাঞ্জাব। বিশেষত, মহারাষ্ট্রে যেভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তা উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। 

মারাঠা রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১১ হাজারের কাছাকাছি। করােনার নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কও বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কোভিড অ্যাকটিভ রােগীর সংখ্যা। 


পশ্চিমবঙ্গেও করােনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। গত বছর মে-জুন মানে ঠিক যেভাবে সংক্রমণের হার চড়চড় করে বেড়েছিল, তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এখন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে কোভিড সংক্রমণ প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়ে গেছে। দৈনিক সংক্রমণ ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা ও হাওড়া। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করােনার দ্বিতীয় ধাক্কা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাও দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অ্যাকটিভ রােগীর সংখ্যাও হঠাৎ করে বেড়েছে।

একদিনে সাড়ে চার হাজারের বেশি ভাইরাস সক্রিয় রােগী ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশে এখন ভাইরাস সক্রিয় রােগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়লে আরও বেশি সংখ্যক কোভিড অ্যাকটিভ রােগীকে চিহ্নিত করা যাবে। অ্যাকটিভ কেসের হার নিয়ন্ত্রণে আনা গলে সংক্রমণের হারও কমে যাবে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ মাস্ক পরা ভুলে গেছেন। করােনা বিধির তােয়াক্কা না করেই বাসে, ট্রেনে ফের ঠাসাঠাসি ভিড় শুরু হয়ে গেছে। পারস্পরিক দূরত্বের বিধি মানছেন না অনেকেই। রাস্তাতেও যেন জনপ্লাবন নেমেছে। বেশিরভাগের মুকেই মাস্ক নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাই করােনাও ছড়িয়ে পড়ছে বেশিজনের মধ্যে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষজনের বেপরােয়া মনােভাবের কারণেই সংক্রমণের হার লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে। করােনা বিধি মেনে না চললে সংক্রমণের দ্বিতীয় ডেউ আসতে বেশি দেরি নেই।