দেশজুড়ে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল ১৯০টি ওষুধ

দিল্লি, ২০ জুলাই–– ফের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে ১৯০টি ওষুধ। এর মধ্যে ৪০টি ওষুধ কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশন। গত মাসে দেশজুড়ে বিভিন্ন বাজার থেকে এই ওষুধের নমুনাগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলি ল্যাবে পরীক্ষা করার পর কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। জানা গিয়েছে, এই রিপোর্ট অনুযায়ী হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেডের তৈরি ওষুধও গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে। তাদের তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনে ওষুধের পরিবর্তে রয়েছে জল। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনও ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের ভায়ালে ভাসছে ক্ষতিকারণ ব্যাকটেরিয়া। আবার কয়েকটি ওষুধ নামী সংস্থার ব্র্যান্ডের নাম জাল করে বানানো হয়েছে। কোনও ওষুধ পরিশোধিত জল দিয়ে তৈরি হয়নি। টেস্টের পর রিপোর্টে এরকম একাধিক অনিয়ম ধরা পড়েছে।  এর আগের মাসে বাজার থেকে তোলা ১৮৮টি ওষুধ গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছিল। সেই সংখ্যাটা এবার আরও বেড়ে গিয়েছে। হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেডের যে ওষুধটি গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে সেটি কলকাতার ল্যাবে টেস্ট করা হয়েছে।
পাশাপাশি ফের পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি স্যালাইন এবং ইনজেকশন এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। এর আগেও এই সংস্থার তৈরি ওষুধ, ইনজেকশনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গত মাসে অসমে এই সংস্থার তৈরি ওষুধের গুণমান যাচাই করা হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষায় ফেল করে ওষুধগুলি। এ মাসে কর্ণাটকের ল্যাবেও পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি স্যালাইন এবং ইনজেকশন গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। শরীরে জল ও কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য যে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়, তা স্টেরিলিটি টেস্টে ফেল করেছে। অর্থাৎ যে তরল দিয়ে ওই ইনজেকশন তৈরি হয়েছে তা বিশুদ্ধ নয়। এই দুটি ইনজেকশনই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি বলে জানা গিয়েছে।