মধ্যপ্রদেশে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ দিনে ৯ শিশুর মৃত্যু। রাজস্থানেও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দেশে মোট শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা ১১। এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ করা হল ‘কোল্ডরিফ’ সিরাপ। তামিলনাড়ু সরকার এই বিতর্কিত সিরাপ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সিরাপের সমস্ত বোতল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই সিরাপ প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে দক্ষিণী রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগের তরফে বোতল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে পাঠানো হত ওই কফ সিরাপ। তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে সরকারি ল্যাবরেটরিতে।
ওই ওষুধে ‘ডাইথিলিন গ্লাইকল’ নামের বিশেষ রাসায়নিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ২ বছরের কম বয়সিদের কোনওভাবেই যাতে কফ সিরাপ প্রেসক্রাইব করা না হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা এবং রাজস্থানের সিকারে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসছিল। সামান্য জ্বর থেকেই আচমকা কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর খবর মিলছিল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছিন্দওয়ারাতেই ৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কফ সিরাপ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে ছিন্দওয়ারায়। জ্বর হলেই অসুস্থ শিশুদের সরকারি হাসপাতালে ৬ ঘণ্টার নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। প্রাইভেট চিকিৎসকদের আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯টি ব্যাচের কফ সিরাপ বিক্রি নিষিদ্দ করেছে রাজস্থান সরকার। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত শিশুদের প্রত্যেকর বয়স পাঁচ বছরের নীচে। আরও ১০ জন শিশু ওই কফ সিরাপ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ বলে খবর।